নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ৪, ২০২৫, ০৮:০৬ পিএম
নতুন অর্থবছর ২০২৫-২৬ এর প্রথম মাস জুলাইয়ে বাংলাদেশ ৪৭৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি।
সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রাথমিক পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট পণ্য রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪ হাজার ৮২৮ কোটি ডলার। ওই সময়ে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
চলতি বছরের জুলাই মাসে অধিকাংশ খাতে রপ্তানি আয় বেড়েছে। ইপিবির তথ্যমতে, হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১৩৩.৪৯ মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের ১১০.৫৬ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় ২০.৭১ শতাংশ বেশি।
চিংড়ি রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩১ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের ২১ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় ৪৭.৬২ শতাংশ বেশি। কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে ৯০.৫০ মিলিয়ন ডলার, গত বছর যা ছিল ৮০.১৯ মিলিয়ন ডলার—বৃদ্ধি ১২.৮৮ শতাংশ।
ঔষধ খাত থেকেও রপ্তানিতে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। এ খাতের আয় দাঁড়িয়েছে ১৯ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের ১২ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় ৫৮.৩৩ শতাংশ বেশি।
প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি হয়েছে ২১.১৬ মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের ১৯.৭০ মিলিয়নের তুলনায় ৭.৪১ শতাংশ বেশি।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানিতেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি জুলাইয়ে এই খাত থেকে আয় হয়েছে ১২৭ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের ৯৮ মিলিয়নের তুলনায় ২৯.৫৯ শতাংশ বেশি।
এই খাতের ভেতরে চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আয় ৩৮ মিলিয়ন ডলার (বৃদ্ধি ৪০.৭৪%), ক্রাশড লেদার ৯.২৪ মিলিয়ন ডলার (বৃদ্ধি ২১.৯৩%) ও চামড়ার জুতা ৮০ মিলিয়ন ডলার (বৃদ্ধি ২৫%)।
বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও রপ্তানিতে এ ধরনের প্রবৃদ্ধি ভবিষ্যতের জন্য আশাব্যঞ্জক।
ইএইচ