ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

কম্বাইন্ড ডিগ্রি চান না বাকৃবি পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা

বাকৃবি প্রতিনিধি

বাকৃবি প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২, ০৯:৫০ পিএম

কম্বাইন্ড ডিগ্রি চান না বাকৃবি পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা

দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বি.এস.সি ভেট সায়েন্স এন্ড এ.এইচ নামের কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর প্রতিবাদে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। কম্বাইন্ড ডিগ্রি চায় না ওই অনুষদের শিক্ষার্থীরা। কারণ কম্বাইন্ড ডিগ্রির ফলে পশুসম্পদ সেক্টরটির অগ্রযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৫সেপ্টেম্বর ) দুপুরে পশুপালন ছাত্র সমিতির আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি পশুপালন অনুষদ থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন অনুষদের করিডোর হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বি.এস.সি. ভেটেরিনারি সায়েন্স এন্ড এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি নামের তথাকথিত কম্বাইন্ড ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে।

এছাড়া বাকৃবি ও পটুয়াবালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) শুধু পশুপালন ডিগ্রিতে প্রাণির উৎপাদন সম্পর্কিত কোর্সে শতকরা যথাক্রমে ৭৬.৫৬% ও ৭১.০৮% হারে পড়াশোনা করে। অন্যদিকে বি.এস.সি. ভেট সায়েন্স এন্ড এ.এইচ প্রোগ্রামে প্রাণি উৎপাদন সম্পর্কিত ক্রেডিটের হার মাত্র ৩০.৩২%।

আরো বলা হয়, বি. এসসি. ভেট সাইন্স এবং এ. এইচ. এবং ভেটেরিনারীর কারিকুলা ও সিলেবাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, উভয় ডিগ্রিই মূলতঃ পশু চিকিৎসা নিয়ে জ্ঞানার্জন করে থাকে। পশুপালন নিয়ে তারা সাপ্লিমেন্টারী কোর্স হিসেবে অতি সামান্য পড়াশোনা করে থাকে।

এ দেশে পোল্ট্রি খাতে বিশেষত ডিম ও ব্রয়লার উৎপাদনে আজ যে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে তা পশুপালন গ্রাজুয়েটদেরই অবদান। এদেশে বিপুল জনগোষ্ঠীর প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটানোর জন্য এবং বর্তমান সরকারের ঘোষিত ‍‍`ভিশন-২০৪১‍‍` এবং জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত .এস. ডি. জি বাস্তবায়নে পশুপালন গ্রাজুয়েটদের ভূমিকা অগ্রগণ্য।

এ কথা স্বতঃসিদ্ধ যে, পশু-পাখির চিকিৎসা করে উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় না, বাঁচিয়ে রাখা যায় মাত্র। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন ডেয়রি, পোল্ট্রি, প্রাণির পুষ্টি, প্রাণির প্রজনন ও বিজ্ঞানভিত্তিক লালন পালন বিষয়ে দক্ষ এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি গ্রাজুয়েট।

প্রাণিসম্পদের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন উচ্চ উৎপাদনশীল পশুর জাত উদ্ভাবন, পশু খাদ্যের পর্যাপ্ততা নিশ্চিতকরণ, বিজ্ঞান ভিত্তিক লালন পালন, প্রাণির প্রশিক্ষণ ও গবেষণা উৎপাদিত পণ্যের সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ, স্থানীমুখী শিল্পের সম্প্রসারণ এবং রোগ প্রতিরোধ। এসব পশুপালন ডিগ্রিতে শিখানো হয়।

পশুপালন ছাত্রসমিতির ভিপি মো. রেজওয়ান উল আমিন বলেন, ‍‍`স্পেশালাইজেশনের যুগে জগাখিচুরি পাকানো কম্বাইন্ড ডিগ্রি কখনোই কাম্য নয়। সারাবিশ্বে যখন শুধুমাত্র পোল্ট্রি সায়েন্স, ডেয়রি সায়েন্স, এনিমেল নিউট্রিশন, এনিমেল জেনেটিক্সে ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে সেখানে এই তথাকথিত কম্বাইন্ড ডিগ্রি যে লাইভস্টোক সেক্টরের উন্নতির অন্তরায় সেটার প্রমাণ সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ভেটেরিনারি কলেজের শিক্ষার্থীদের কম্বাইন্ড ডিগ্রি না চাওয়ার আন্দোলন। একই রকম কোর্স কারিকুলাম পড়ে একটা ডিগ্রির নাম কম্বাইন্ড ডিগ্রি আরেকটা ডিভিএম ডিগ্রি। আসলে দুইটা ডিগ্রি আলাদা কিছু নয় বরং দুইটাই ডি.ভি.এম ডিগ্রি। সুতরাং লাইভস্টোকের উন্নতির পথ সুগম করতে অতি দ্রুত তথাকথিত কম্বাইন্ড ডিগ্রি বন্ধ করা হোক পাশাপাশি প্রাণির প্রোডাকশন এর জন্য এনিমেল হাজবেন্ড্রি আর ট্রিটমেন্টের জন্য ডিভিএম ডিগ্রি দেওয়া হোক।‍‍`

এসএম

Link copied!