Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

কালাজ্বর শনাক্তকরণের নতুন কৌশল উদ্ভাবন করলো ঢাবি গবেষকরা

ঢাবি প্রতিবেদক

ঢাবি প্রতিবেদক

জানুয়ারি ৩, ২০২৩, ০৫:০৯ পিএম


কালাজ্বর শনাক্তকরণের নতুন কৌশল উদ্ভাবন করলো ঢাবি গবেষকরা

দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রাণঘাতি রোগ কালাজ্বর নির্ভুলভাবে শনাক্ত করার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মনজুরুল করিমের নেতৃত্বে একটি গবেষক দল এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে। গতকাল সোমবার (২ জানুয়ারি) ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কালাজ্বর নির্ণয়ের এই নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।

গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ মনজুরুল করিম জানান, ‘রিয়েল টাইম পিসিআর ভিত্তিক এই মলিকুলার ডায়াগনস্টিক পদ্ধতি সম্পূর্ণ নির্ভুল ও নিখুঁতভাবে কালাজ্বর শনাক্তকরণের একটি রোগীবান্ধব পদ্ধতি। মূত্রের নমুনা ব্যবহার করে এই পদ্ধতিতে মাত্র ৩ ঘন্টার মধ্যে কালাজ্বর শনাক্ত করা সম্ভব। পূর্বে কালাজ্বর নির্ণয়ের ক্ষেত্রে রক্তের ইমিউনোক্রোমাটোগ্রাফিক পরীক্ষা এবং অস্থি-মজ্জা, যকৃত, প্লিহা, লিম্ফ নোড এর টিস্যু অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হতো। এতে রোগ শনাক্তকরণের জন্য ৭দিন সময় লাগতো।’

তিনি আরও জানান, গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের একটি উপেক্ষিত রোগ কালা আজার বা কালাজ্বর (Visceral Leishmaniasis), যা লেশমানিয়াসিসের ৩টি রূপের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এবং প্রাণঘাতি। বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশে কালাজ্বর এর প্রকোপ আছে। যদিও এটি লেশমানিয়া গোত্রের একাধিক পরজীবীর মাধ্যমে ঘটে থাকে, বাংলাদেশে -একমাত্র Leishmania donovani পরজীবীর অস্তিত্বই পাওয়া গেছে। কালাজ্বর এর সংক্রমণ এতটাই গুরুতর ও মারাত্মক হয়ে থাকে যে, এ রোগে মৃত্যুহার শতকরা ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারে যদি চিকিৎসা করানো না হয়।

নতুন এই পদ্ধতিতে কালাজ্বর নির্ণয় ও নির্মূলে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়ে গেলো বলে তিনি উল্লেখ করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অসাধারণ উদ্ভাবনের জন্য গবেষক দলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মৌলিক গবেষণার ক্ষেত্রে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের অনেক গবেষক ও বিজ্ঞানী রয়েছেন। নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে তারা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম। আধুনিক ও সমৃদ্ধ ল্যাব স্থাপন করা গেলে শিগগিরই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোভিড-১৯ টিকাসহ বিভিন্ন ধরনের টিকা উদ্ভাবন ও উৎপাদন করা যাবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান, চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার নবী, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগমসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও গবেষক দলের সদস্যবৃন্দ।

কেএস 

Link copied!