Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

রাবিতে ‘শহীদ ফারুক দিবস’ পালিত, খুনিদের শাস্তি দাবি 

রাবি প্রতিনিধি : 

রাবি প্রতিনিধি : 

ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩, ০৩:০৮ পিএম


রাবিতে ‘শহীদ ফারুক দিবস’ পালিত, খুনিদের শাস্তি দাবি 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘শহীদ ফারুক দিবস’ পালিত হয়েছে। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ দিবসটি পালন করেছে। এই উপলক্ষে পরিবহন মার্কেটে দলীয় টেন্ট থেকে শোভাযাত্রা নিয়ে শাহ মখদুম হলের সামনে অবস্থিত শহীদ ফারুকের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। পরে সেখানে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি ঘাতক শিবিরে নৃশংস হামলায় শহীদ হন ফারুক। এই হত্যা এতটাই নির্মম ছিল যে, তারা লাশটা হলের সামনে থেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে ম্যানহলে ফেলে রেখেছিল। একই সাথে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছিল। তখন ছাত্রলীগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই নৃশংসতার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় এবং শিবির মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার ডাক দেয়। ফলে এখন পর্যন্ত ক্যাম্পাসে একাত্তরের এই পরাজিত শক্তি মাথাচাড়া দিতে পারে নি। আজও ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ এই ঘাতকদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে শক্ত ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া ক্যাম্পাসে যেকোন অপকর্মে তাদের প্রতিবহত করার কথা জানান তিনি।

এই হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ বিচার দাবি করে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, এই ঘটনায় জড়িত সকলের যথাযথ শাস্তি কার্যকর হয়নি। তাই তাদের শাস্তির দাবি জানাই। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফারুকের বোনের চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানা তিনি। 

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগ-শিবিরের সংঘর্ষের রাতে খুন হন ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাহ মখদুম হলে তাকে খুন করে লাশ ম্যানহলে ফেলে রাখা হয়। ঘটনার পরদিন তৎকালিন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু বাদী হয়ে  নগরীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে পুলিশ বাদি হয়ে হত্যা ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি পৃথক মামলা করে। 

মামলার ২ বছর পর ১১০ জনকে আসামি করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান। এতে ৪৭ জনকে পলাতক দেখিয়ে অভিযোগপত্র গঠন করা হয়। অভিযোগপত্রে প্রথম দিকে জামায়াত নেতা মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত নিজামী, মুজাহিদ, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ছিলেন। এই অভিযোগে অনেকের শাস্তি হয়েছে। অনেকে উচ্চ আদালতের মাধ্যমে জামিনে বের হয়েছেন।

আরএস

Link copied!