Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

সংকোচ কাটিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

মার্চ ১৮, ২০২৩, ১২:০৫ পিএম


সংকোচ কাটিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা

মানসিক স্বাস্থ্যসংকটে ভোগা শিক্ষার্থীদের সেবা দিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে চালু করা হয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। শুরুর দিকে এই কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংকোচ কাটিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই সেবা নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ দপ্তরের আওতায় ‘মানসিক স্বাস্থ্য সেবা’ বিভাগের পরিসংখ্যান  বলছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত এই কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা এককভাবে সেবা ২৫০ জন শিক্ষার্থী এছাড়াও দলগত কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে অনেকেই সেবা দেওয়া হয়েছে। সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় নব্বই শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী সেবা নেওয়ার পর মানসিক স্বাস্থ্য সংকট কাটিয়ে উঠতে পেরেছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের আন্তরিকতা, স্বচ্ছন্দ সেবাদান পদ্ধতি এবং বিনামূল্যের সেবার কারণেই তারা দ্বিধা কাটিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সহপাঠীদের মধ্যে যারা মানসিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তারা এই সেবার মাধ্যমে সংকট কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে।

মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের  সাইকোলজিস্ট আদিবা আক্তার জানান, এখন পর্যন্ত তাদের কাছ শিক্ষার্থীরা যে সমস্যাগুলোর জন্য এসেছে তার মধ্যে হতাশা, পারিবারিক কলহ, পরিবেশের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা, অতিরিক্ত চিন্তা, ক্যারিয়ার, যৌন হয়রানি, মুড সুইং, আত্মবিশ্বাসের অভাব, মানসিক চাপ, প্যানিক ডিজঅর্ডার, ফোবিয়া ডিজঅর্ডার, প্রেমঘটিত সম্পর্ক, শারীরিক সমস্যা, হতাশা, পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতি, আর্থিক অসচ্ছলতা উল্লেখযোগ্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগ সংশ্লিষ্টরা জানান, শিক্ষার্থীদের সমস্যা শোনার পর তাদের রোগের ধরন অনুসারে কাউন্সিলিং করে থাকি।  প্রতিটি ব্যক্তিগত সেশনে সর্বনিম্ন ৪৫ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত সময় নেয়া হয়। প্রয়োজন হলে গ্রুপ সেশন নেয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের প্রধান অধ্যাপক ড. তপন কুমার বলেন, আমরা শুরুর দিকে যখন এই সেবা দেওয়া শুরু করি অনেকের মধ্যে অনীহা ছিল। তাদের ব্যাক্তিগত সমস্যা বলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করত না। কিন্তু এখন এ সেবা নেওয়ার চাহিদা বহুলাংশে বেড়েছে। কিন্তু তার সাথে পাল্লা দিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য বিচাগে জনশক্তি বাড়াতে না পারায় বর্তমান চাপ বাড়ছে ববর্তমানে কর্তব্যরতদের উপর। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে আরও বরাদ্দ প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এআরএস

Link copied!