Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪,

ব্যক্তিস্বার্থে মিথ্যা অভিযোগ

সালাম কান্ডে সংবাদ সম্মেলনে যবিপ্রবি ছাত্রলীগ

যবিপ্রবি প্রতিনিধি:

যবিপ্রবি প্রতিনিধি:

ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪, ০৬:৪১ পিএম


সালাম কান্ডে সংবাদ সম্মেলনে যবিপ্রবি ছাত্রলীগ
ছবি: আমার সংবাদ

লুঙ্গি পরা ও সালাম কান্ডে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও অন্যান্য নেতাকর্মীদের জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা (একাংশ)।

সোমবার (১৯ই ফেব্রুয়ারি,২০২৪ খ্রি.) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তনের  (টিএসসি) দ্বিতীয় তলায় এ  সংবাদ সম্মেলন করা হয়। 

এসময় দুই বন্ধুর মধ্যে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে একটি পক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করছে বলে দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল বলেন, সম্প্রতি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসাইন্স (এফএমবি) বিভাগের মোঃ মানজুরুল হাসান নামে এক শিক্ষার্থীর অভিযোগের বিষয়ে আপনারা অবগত আছেন। আমার সহযোদ্ধা যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি মো: সোহেল রানা ভাই সহ যবিপ্রবি ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীকে জড়িয়ে শহিদ মসিয়ূর রহমান হল প্রভোস্ট বা থানায় সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) যে অভিযোগ করা হয়েছে তার সাথে সেদিনের প্রকৃত ঘটনার কোন মিল নেই। 

মোঃ মানজুরুল হাসান নামে যে শিক্ষার্থীকে দিয়ে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, সভাপতি সোহেল রানা ভাই তাকে চেনে না। আর শুক্রবার রাতে ঐ শিক্ষার্থীর সাথে আমার এবং  সভাপতি কারো দেখাও হয়নি। এখানে সালাম দেওয়া না দেওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। আর সে লুঙ্গি পরে থাকবে নাকি প্যান্ট পরে থাকবে সেটাও তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু রাত ১১ টার দিকে হঠাৎ  শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ২০-৩০ জন কর্মীকে নিয়ে শহিদ মসিয়ূর রহমান হলে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতির রুমে (৩০৬ নং) হামলা করে।

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, আমি প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী রকির সাথে মোঃ মানজুরুল হাসান এর পূর্বে কোনো বিষয় নিয়ে মতানৈক্য থাকতে পারে।

শুক্রবার রাতে সে বিষয়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হলেও হতে পারে। কিন্তু এই বিষয়টিকে পুঁজি করে একটা পক্ষ সুবিধা নিতে আমার সংগঠনের সভাপতি সহ আরও কয়েকজন নেতাকর্মীর নামে এই মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি মোঃ মানজুরুল হাসানের অভিযোগ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রি.) রাতের প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যবিপ্রবি শাখার পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মোঃ নাজমুস সাকিব বলেন, যখন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ২০-৩০ জন কর্মীকে নিয়ে সভাপতির রুমে হামলা করে তখন আমি পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে  শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত হই। আমি এ ঘটনার সুস্থ তদন্ত  ও বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস. এম. ইকরামুল কবির দ্বীপ বলেন, আমি সহ আমার বিভাগের ছোট ভাইয়েরা সভাপতির ৩০৬ নং কক্ষে জানতে গিয়েছিলাম আমার ছোট ভাই মঞ্জুরুলকে কেনো মারা হয়েছে? কিন্তু তারা সিনক্রিয়েট করলে আমি সেখান থেকে চলে আসি। আর নাজমুস সাকিব তো সেখানে ছিলই না। তাকে হেনস্তা করার কোনো প্রশ্নই উঠে না।

এদিকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা এ ঘটনার বিষয়ে বলেন, ছাত্রলীগের কিছু বিপথগামী নেতাকর্মী  ও অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য ও বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে ছাত্রলীগের নাম খারাপ করছে। আমাকে জড়িয়ে  বদনাম দেয়া হচ্ছে এর আগেও এমন বদনাম করার চেষ্টা করা হয়েছে। যে ছেলে আমার নামে থানায় জিডি করেছে তাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনিও না কখনও দেখিওনি আগে। রকি নামের এক শিক্ষার্থীর সাথে মনজুরুলের কোন বিষয়ে বিরোধ ছিল পরে জানতে পেরেছি।

এই বিষয়টির সাথে আমার নাম জড়িয়ে এ ঘটনাকে পুঁজি করে একটা মহল আমার ও আমার সংগঠনের বদনাম করছে।আমাদের শাখা ছাত্রলীগ থেকে ওই দিনের ঘটনার আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আমার সংগঠনের কেউ দোষী প্রমাণিত হলে প্রয়োজনে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।

উক্ত সংবাদ  সম্মেলনে আরোও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো.আবির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মান্নান রিয়াজ ও মোহম্মদ খালেদ মোশাররফ,সদস্য মোহাম্মদ হামিম ফয়সাল আবিদ, রাশেদ হাসান ও আব্দুল্লাহ আল মারুফ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইছাদ হোসেন, ছাত্রলীগ কর্মী বিপুল শেখ ও মুশফিকুর রহমান প্রমুখ।

বিআরইউ

Link copied!