ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

কুবি উপাচার্য একটি আমদানিকৃত পঁচা মাল: কুবি শিক্ষক

কুবি প্রতিনিধি:

কুবি প্রতিনিধি:

এপ্রিল ৩০, ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম

কুবি উপাচার্য একটি আমদানিকৃত পঁচা মাল: কুবি শিক্ষক

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য আবদুল মঈনকে অষ্ট্রেলিয়া থেকে ‘আমদানিকৃত পঁচা মাল’ বলে মন্তব্য করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান। এসময় তিনি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের বাঙালি কমিউনিটিতে কুবি উপাচার্য ক্যাসিনো মঈন নামে পরিচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সোমবার (১০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতির মানববন্ধনে তিনি এসব বক্তব্য প্রদান করেন।

শিক্ষকদের উপর উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে হামলা, মারধর এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার প্রতিবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসময়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।  

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরের মদদে বহিরাগত সন্ত্রাসী ও অছাত্ররা শিক্ষকদের উপর যে ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে তাদের অধিকাংশই হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার জেলখাটা দাগি আসামি। তাদের এ হামলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতা এবং জীবন শংকায় ভুগছেন।

মানববন্ধনে নৃবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হক বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষের কার্যালয় একটা সন্ত্রাসী সেন্টার। সেখানে সন্ত্রাসীরা মিটিং করে। কখন কাকে হামলা করবে। আপনারা উপাচার্য কিংবা প্রক্টরের রুমের সামনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই তা বুঝতে পারবেন।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোকাদ্দেস-উল- ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আজ আক্রান্ত। যখন থেকে ওমর সিদ্দিকী প্রক্টরের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব নিয়েছেন তখন থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। যার নিরাপত্তা দেওয়ার কথা তিনিই যদি আঘাত করেন তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কার কাছে নিরাপদ সেটা প্রশ্ন থেকে যায়। গত ২৮ তারিখ তিনিই আমাকে প্রথম আঘাত করেছেন। জীবনের নিরাপত্তা না থাকলে আমরা কীভাবে ক্লাস নিবো। তাই এই ভিসি, ট্রেজারার দায়িত্বে থাকা কালীন আমরা আর ক্লাসে ফিরে যাবো না।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু তাহের বলেন, এই উপাচার্যের যখন নিয়োগ হয়, আমি রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে ছিলাম। তখন থেকেই তিনি বহিরাগত ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। তার অপকর্মের কারণে আমি ২ মাস পর পদত্যাগ করি। আমরা সাতটি দাবি উপস্থাপন করেছি কিন্তু তিনি কোন কর্ণপাত করেননি।

তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন ভিসি ও সন্ত্রাসীরা কীভাবে শিক্ষকদের উপর হামলা করেছেন। প্রক্টর নিজেই হামলার মদদ দিয়েছেন। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদককে ঘুষি মেরে তিনি ভেতরে প্রবেশ করেছেন। ২৮ তারিখে হামলায় শিক্ষকরা আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হত্যা মামলার প্রধান আসামি এবং বর্তমানে উপাচার্যের লালিত সন্ত্রাসী খুনি বিপ্লব এই মানববন্ধন চলাকালীন ৪ বার এখান দিয়ে যাওয়া আসা করেছে। প্রতিবারই আমরা শঙ্কিত ছিলাম। ক্লাস অ্যাকাডেমিক কোনো কার্যক্রমে কোনো শিক্ষক অংশগ্রহণ করবে না৷ উপাচার্য পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা চিন্তা করবেন না। একটু ধৈর্য ধরেন। করোনা পরবর্তী সংকট আমরা যেভাবে অতিরিক্ত ক্লাস নেয়ার মাধ্যমে কাটিয়ে উঠেছি এবারও সেটাই হবে।

এসময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হাতে বিভিন্ন প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। যেমন, ছাত্র সমাজ জেগে উঠো, শিক্ষক কেন নির্যাতিত? শিক্ষকের গায়ে হাত কেন, প্রশাসন তুমি নীরব কেন? শিক্ষকের গায়ে হাত কেন, প্রশাসন জবাব চাই! চাকরি দে! নয়তো ভার্সিটি চিবিয়ে খাবো; আমদানীকৃত পঁচা মাল, আজরাইল মুক্ত ক্যাম্পাস চাই; সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অবস্থান কোথায়? পিতৃতুল্য শিক্ষকের গায়ে হাত কেন? জবাব চাই জবাব চাই, ডিক্টেটর ভিসি জবাব চাই; ছাত্র সমাজ জেগে উঠো শিক্ষক কেন নির্যাতিত? সন্ত্রাসীদের কালো হাত গুড়িয়ে দাও ভেঙে দাও; মেরুদণ্ড গড়ার কারখানা কেন আজ সন্ত্রাস গড়ার কারখানা? এমন অসংখ্য প্ল্যাকার্ড নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে উপাচার্য আবদুল মঈনের নেতৃত্বে এবং সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় বেশ কয়েকজন বহিরাগত এবং সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী শিক্ষকদের উপর হামলা করেন। এতে নারী শিক্ষকরাও আহত হন বলে জানা যায়। যার প্রতিবাদে শিক্ষকরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্যকে গ্রেফতারের দাবি জানান। এবং উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে সকল অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন।

বিআরইউ

Link copied!