কমিটি দেওয়ার দুই ঘণ্টা পরেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি স্থগিত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (বৈছাআ) কমিটি ঘোষণার ২ ঘণ্টা পরই স্থগিত করা হয়েছে।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২ টার দিকে মেজবাহ উদ্দিন রিয়াদকে আহ্বায়ক এবং রাজু শেখকে সদস্য সচিব করে আগামী ৬ মাসের জন্য ৫২ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (বৈছাআ) অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রচার করা হয়। পরে পদত্যাগের মুখে দুই ঘণ্টা পর নতুন কমিটি স্থগিত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (বৈছাআ) অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকেও কমিটির তালিকা সরিয়ে ফেলা হয়।

কমিটি ঘোষণার পরপরই অভিযোগ উঠতে শুরু করে কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই কমিটিতে নাম দেয়া হয়েছে অনেক শিক্ষার্থীর। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এসব অভিযোগের কথা জানাতে থাকেন কমিটিতে পদ পাওয়া অনেকে। এ সময় পদত্যাগ করেন যুগ্ম-সদস্যসচিব, সহ মুখপাত্র ও সদস্য পদে থাকা একাধিক শিক্ষার্থী। এসবের মুখে ২ ঘন্টা পরই বৈছাআর ফেসবুক পেইজ থেকে মুছে ফেলা হয় কমিটির তালিকা।

কমিটিতে সহ মুখপাত্র হিসেবে স্থান পাওয়া যায় ইব্রাহিম খলিল ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, সদ্য প্রকাশিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিতে কে বা কারা আমার অনুমতি ব্যতীত আমার নাম কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠিয়েছে সে ব্যাপারে আমি অবগত নই। আন্দোলনে অংশ নেওয়ার মূল ভিত্তিগুলোর অন্যতম একটি ছিল বাংলাদেশে ক্যাম্পাস ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ক্যাম্পাস কমিটির সাথে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি স্বেচ্ছায় এই কমিটি থেকে আমার নাম প্রত্যাহার করে নিলাম।

একই ধরনের পোস্ট দিয়ে পদত্যাগ করেন যুগ্ম-সদস্যসচিব সাবিকুন্নেছা লাবণী, সদস্য আশরাফ সিদ্দিকী, সদস্য রিয়াদুল ইসলাম রিয়াদ, সদস্য ইমরান হোসাইন, সদস্য আজিজুল ইসলাম, সদস্য জাকির হোসেনসহ অনেকে।

এসব বিষয়ে কমিটির সদস্য-সচিব রাজু শেখের কাছে জানতে চাইলে এবিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। তাকে ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হলেও তিনি উত্তর দেননি।

আরএস