Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

উচ্ছ্বসিত কেয়া চৌধুরী

বিনোদন প্রতিবেদক 

বিনোদন প্রতিবেদক 

জুন ১৯, ২০২২, ১০:১৯ এএম


উচ্ছ্বসিত কেয়া চৌধুরী

সুজেয় শ্যাম, বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনের বরেণ্য কিংবদন্তি সুরকার, সংগীত পরিচালক। তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একজন গুণী সংগীত পরিচালক ও কণ্ঠযোদ্ধা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গানে অবদানের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন বেশ কয়েকবার। 

গুণী এই সংগীত ব্যক্তিত্ব এখনো নিয়মিত গানে সুর করে যাচ্ছেন। তার সুরে গান করা যেন এ প্রজন্মের শিল্পীদের কাছে অনেক বড় স্বপ্ন। সেই স্বপ্নই যেন পূরণ করেছেন এই প্রজন্মের সংগীতশিল্পী কেয়া চৌধুরী। জীবনের এই অনেক বড় স্বপ্ন পূরণের মধ্যদিয়ে এক অন্যরকম উচ্ছ্বাসের মধ্যদিয়ে সময় কাটছে কেয়ার। 

এসএম নজরুল ইসলাম নাজমুলের লেখায় ‘আমি তোমার ভালোবাসার পৃথিবীটা ঘুরে দেখতে চাই’- এমন কথার অনবদ্য সুর করেছেন সুজেয় শ্যাম। বাংলাদেশ টেলিভিশনের মৌলিক গানের অনুষ্ঠানে ‘অন্তরের গান’ অনুষ্ঠানের জন্য গানটি করা হয়েছে। গানটিতে এরইমধ্যে কণ্ঠ দিয়েছেন কেয়া চৌধুরী। 

কেয়ার গায়কী প্রসঙ্গে সুজেয় শ্যাম বলেন, ‘কিছুদিন আগেই বিটিভিতে অন্তরের গান অনুষ্ঠানে কয়েকজন শিল্পী আমার সুরে মৌলিক গান গেয়েছে। তার মধ্যে কেয়াও আমার সুরে একটি মৌলিক গান গেয়েছে। কেয়ার কণ্ঠ ভীষণ মিষ্টি। আমার কাছে মনে হয়েছে তাকে দিয়ে সিনেমার গানও করানো যেতে পারে অনায়াসে। যার ফলে আমাদের প্লে-ব্যাকে যে সংগীতশিল্পীর সংকট রয়েছে, তা কিছুটা হলেও দূর হবে। কেয়ার কণ্ঠে আমার সুরের মৌলিক গানটি আশা করছি ভালো লাগবে শ্রোতা-দর্শকের।’ 

ভীষণ উচ্ছ্বসিত, আনন্দিত কেয়া চৌধুরী বলেন, ‘আমার স্বপ্নগুলোর মধ্যে অনেক বড় স্বপ্ন ছিল শ্রদ্ধেয় সুজেয় শ্যাম স্যারের সুরে গান গাইবার। সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিল, এটা সত্যিই আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। 

গান রেকর্ডিংয়ের শেষে তিনি বলেছেন, আমার কণ্ঠটা প্লে-ব্যাকের জন্য ভীষণ উপযোগী। সিনেমাতে প্লে-ব্যাক না করতে পারলেও স্যারের এই যে আমাকে নিয়ে যে ভাষ্য, তা-ই যেন প্লে-ব্যাক করার মতোই। আমি প্রার্থনা করি তিনি যেন সুস্থ থাকেন, ভালো থাকেন।’ কেয়া চৌধুরীর বাড়ি চট্টগ্রামের হালিশহরে। গানে কেয়ার হাতেখড়ি মৃদুল দাসের কাছে। তারপর মিহির লালা ও মোস্তফা কামালের কাছে তালিম নিয়েছেন।

 বর্তমানে তিনি সুজিত মোস্তফার কাছে গানে তালিম নিচ্ছেন। কেয়ার বাবা জয়দেব দাস। কেয়া উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময় কিডনি জটিলতায় অসুস্থ হয়ে মারা যান বাবা। তার মা আদরী দাস একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চট্টগ্রামে চাকরি করছেন। কেয়ার স্বামী শুভ চৌধুরী ও একমাত্র সন্তান কর্ণিয়া চৌধুরী।
 

Link copied!