হাতীবান্ধা(লালমনিরহাট) প্রতিনিধি:
জুলাই ৫, ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানা ঘেরাও করে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় বিএনপির সহযোগী সংগঠনের ২৭ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নুরনবী খন্দকার কাজল ও মাহফুজুর রহমান বিপ্লব নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন-নবী বলেন, ‘সরকারি কাজে বাধা এবং থানা অবরুদ্ধ করার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (২ জুলাই) রাতে পাটগ্রাম থানায় হামলার খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) জয়ন্ত কুমার সেন এবং হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন-নবী একটি টিম নিয়ে পাটগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন।
তবে, রাত ১১টার দিকে হাতীবান্ধা থানা ছাড়ার সময় থানা ফটকের সামনে প্রায় শতাধিক মোটরসাইকেল দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের থামিয়ে দেন উপজেলা বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পুলিশের দাবি, তাদের উদ্দেশ্য ছিল পাটগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে না পৌঁছাতে পারে, সে পথ রুদ্ধ করা।
সেদিন বিকেলে পাটগ্রামে পাথরমহালের রয়্যালটির নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ইজারাদারের দুই কর্মচারীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়। পরে রাতেই থানায় ২০০ থেকে ২৫০ জনের একটি দল হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। তারা থানায় থাকা সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনার জন্য বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের দায়ী করেছে পুলিশ।
হাতীবান্ধা থানায় পুলিশি অভিযান ব্যাহত করার দায়ে নতুন মামলাটি দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ওসি মাহমুদুন-নবী বলেন, অবরুদ্ধ করে পুলিশ সদস্যদের গেটের বাইরে আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়। আমরা কোনভাবে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পাটগ্রামে পৌঁছাই। এ ধরনের কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রবিরোধী এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিআরইউ