ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫
Amar Sangbad

উন্মুক্ত হলো ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাস ‘বাংলার রক মেটাল’

সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া

আগস্ট ৬, ২০২২, ০৮:০৪ পিএম

উন্মুক্ত হলো ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাস ‘বাংলার রক মেটাল’

প্রথমবারের মতো মলাটবন্দি হলো বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস ও ১৮০টি ব্যান্ডের সঠিক বায়োগ্রাফি । যাতে স্থান পেয়েছে পূর্ব পাকিস্তান সময়ে ষাটের দশক থেকে বর্তমান বাংলাদেশ পর্যন্ত ৬টি দশকের আমাদের ব্যান্ড সংগীতের পথচলার ইতিহাস এবং মহান স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সব দেশী ব্যান্ডদের সঠিক বায়োগ্রাফি।

মিলু আমান ও হক ফারুকের লেখা ‘বাংলার রক মেটাল’ শিরোনামের এ বইটির প্রকাশনা উৎসব হয়ে গেল। শুক্রবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বাংলা মটরস্থ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বাতিঘরে এই প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়।  


এদিন উৎবস্থল বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের তারকাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। সেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পন্দনের কাজী হাবলু, রেনেসাঁর নকীব খান, গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, ফিডব্যাকের ফোয়াদ নাসের বাবু ও লাবু রহমান, মাকসুদ ও ঢাকার মাকসুদুল হক, মাইলসের হামিন আহমেদ, ওয়ারফেজের ইব্রাহিম আহমেদ কমল ও শেখ মনিরুল আহমেদ টিপু, রকস্ট্রাটার আরশাদ আমীন। এ ছাড়াও দেশের নবীন-প্রবীণ সব ব্যান্ডের মিউজিশিয়ান, পাঠক ও ব্যান্ড সংগীতপ্রেমীদের পদচারনায় মুখরিত হয় অনুষ্ঠানস্থল। প্রকাশনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বইটির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান আজব প্রকাশের প্রকাশক সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার।

নিজস্ব অনুভূতি প্রকাশে বইয়ের লেখক মিলু আমান বলেন, ‘বাংলার রক মেটাল’ বই প্রকাশের মধ্য দিয়ে আমাদের গর্বের ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাস সঠিকভাবে লিখিত হলো। এটি আমাদের ব্যান্ড সংগীতের পূর্ণাঙ্গ এনসাইক্লোপিডিয়া হিসেবে কাজ করবে।

অনুভূতি প্রকাশে বইয়ের আরেক লেখক হক ফারুক আহমেদ বলেন, “গত বিশটি বছরের সাধনায় লেখা ‘বাংলার রক মেটাল’ আমাদের ব্যান্ড সংগীত নিয়ে নানা তথ্যের বিভ্রান্তি দূর করবে। প্রজন্মের পর প্রজন্মে ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাস চর্চায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।”

 

তিনটি ভাগে সাজানো হয়েছে এ বই। প্রথমাংশে ষাটের দশক থেকে শুরু করে আজকের সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের পটভূমি, ইতিহাস, পথচলা ও নানা পরিবর্তন তুলে ধরা হয়েছে। দ্বিতীয় অংশে ১৮০টি ব্যান্ডের বায়োগ্রাফি ও প্রোফাইল। এই প্রোফাইলগুলো সাজানো হয়েছে ব্যান্ডগুলোর জন্মসাল ক্রমান্বয়ে, পুরোনো ব্যান্ড থেকে নতুন ব্যান্ড হিসেবে। দেশের সব প্রখ্যাত ব্যান্ডের পাশাপাশি কিছু সম্ভাবনাময় নতুন ব্যান্ডের প্রোফাইল রাখা হয়েছে। প্রতিটি ব্যান্ডের অ্যালবাম ও গানের তালিকা ডিস্কোগ্রাফি আকারে সন্নিবেশ করা হয়েছে। আর তৃতীয় অংশে রয়েছে  বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস এসোসিয়েশানের (বামবা) সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং আরও কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যান্ডের তালিকা।

প্রসঙ্গত, বইয়ের লেখকদ্বয়ের গত বিশ বছরের ব্যান্ড সংগীতবিষয়ক লেখালিখি, তথ্য সংগ্রহ, অনুসন্ধান, গবেষণা, রাতের পর রাত জেগে চুলচেরা বিশ্লেষণ, লেখা কাটাকুটি, বিয়োজন-সংযোজন আর সম্পাদনা শেষে এই বই। সব প্রস্তুতির পরও আরও একবার দেশের সব ব্যান্ডের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া হয়। অভূতপূর্ব সাড়া মেলে ব্যান্ডের সবার কাছ থেকে। যাচাই-বাছাই করে তৈরি করা হয় ব্যান্ডগুলোর সঠিক বায়োগ্রাফি। যেসব ব্যান্ডের কোনো অস্তিত্ব আজ আর নেই, তাদের তথ্য নেয়া হয় ব্যান্ডসংশ্লিষ্ট মিউজিশিয়ানদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

‘বাংলার রক মেটাল’ প্রকাশ করেছে প্রকাশনা সংস্থা আজব প্রকাশ। প্রচ্ছদ এঁকেছেন নিয়াজ আহমেদ অংশু এবং নামলিপিতে মোস্তাফিজ কারিগর। গ্রাফিক্স ডিজাইন করেছেন কৌশিক জামান। ৪৬৪ পৃষ্টার বইটির মূল্য ১ হাজার টাকা।

Link copied!