Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫,

ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারে নাশকতার প্রমাণ মেলেনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মে ২৫, ২০২৪, ০৫:৫২ পিএম


ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারে নাশকতার প্রমাণ মেলেনি

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের ফল প্রকাশ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। তদন্তকারীরা এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অপরাধমূলক কার্যকলাপ বা নাশকতার কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি বলে জানিয়েছেন।

শনিবার আল জাজিরার খবরে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নাশকতার মেলিনি।

গত রোববার ইরানের উত্তরাঞ্চলে আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার মধ্যে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার পার্বত্য এলাকায় বিধ্বস্ত হয়, তাতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও তার সফরসঙ্গীরা নিহত হন।

প্রেসিডেন্ট রাইসিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সম্ভাব্য উত্তরসূরী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। তার সঙ্গে একই হেলিকপ্টারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান ও ক্রুসহ আরও ছয় আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনায় সবার মৃত্যু হয়।

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা বলেছে, ইরানের সামরিক তদন্তকারীরা এখন পর্যন্ত হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও অন্য সাতজন নিহত হওয়ার ঘটনায় অপরাধমূলক কার্যকলাপের কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি।

দুর্ঘটনার বিষয়ে সামরিক বাহিনীর একটি প্রাথমিক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা বৃহস্পতিবার জানিয়েছিল, হেলিকপ্টারটি উঁচু পাহাড়ি এলাকায় আঘাত করার পর তাতে আগুন ধরে গিয়েছিল। কপ্টারের ধ্বংসাবশেষে ‘বুলেটের কোনো গর্ত বা চিহ্ন’ খুঁজে পাওয়া যায়নি। গত রবিবার (১৯ মে) রাইসির হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পূর্বনির্ধারিত পথেই উড়ছিল এবং নির্ধারিত গতিপথ বদলায়নি। ওয়াচ টাওয়ার এবং ফ্লাইট ক্রুদের মধ্যে যোগাযোগের সময় সন্দেহজনক কোনো বিষয় পাওয়া যায়নি।

গত বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত সশস্ত্র বাহিনীর কর্মীদের একটি বিবৃতি অনুসারে, প্রেসিডেন্টকে পরিবহনকারী হেলিকপ্টার ও সঙ্গে থাকা অপর দুই হেলিকপ্টারের মধ্যে চূড়ান্ত যোগাযোগ দুর্ঘটনার প্রায় দেড় মিনিট আগে রেকর্ড করা হয়েছিল।

হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ গত সোমবার (২০ মে) ভোরে ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পাওয়া যায়। একটি ইরানি ড্রোন হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করেছিল। কিন্তু দুর্গম এলাকা, কুয়াশা ও ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল তাদের কার্যক্রম চালাতে বাধাগ্রস্ত হয়েছিল।

রাইসির মৃত্যুতে ইরান পাঁচদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করেছে। এখন অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। ২৮ জুন ভোটের মধ্য দিয়ে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হবে।

আরএস

 

Link copied!