মে ৭, ২০২৫, ১০:৪২ এএম
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চরম উত্তেজনার মধ্যেই সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতের পর একাধিক এলাকায় ভারতের ‘ক্ষেপণাস্ত্র হামলার’ জবাবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা ভারতীয় বিমান বাহিনীর তিনটি রাফাল, একটি মিগসহ ৫ পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানিয়েছেন, ভারতীয় হামলায় কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফফরাবাদে অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৫ জন। ক্ষয়ক্ষতির পরপরই পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাল্টা হামলা চালায়।
আইএসপিআর জানায়, পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি ফরাসি রাফাল, একটি রুশ সু–৩০ এবং একটি মিগ–২৯ যুদ্ধবিমান। রাফাল যুদ্ধবিমানগুলো দাসোঁ এভিয়েশনের তৈরি, যা ভারতের বিমানবাহী রণতরী থেকেও পরিচালিত হয়।
এদিকে, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালুর ঘোষণা দিয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, এ অভিযানে পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মীরের অন্তত ৯টি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। ভারত দাবি করেছে, তাদের লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসী ঘাঁটি, কোনো সামরিক স্থাপনাকে নিশানা করা হয়নি। ভারতীয় সেনাবাহিনী আরও জানায়, কাশ্মীরে পাকিস্তানি বাহিনীর গোলায় তাদের তিন সেনা নিহত হয়েছেন।
বর্তমান সংঘাতের সূত্রপাত গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকে। ওই হামলার জন্য পাকিস্তান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করে ভারত। এরপর থেকেই সীমান্তে গোলাগুলি ও হামলা বাড়তে থাকে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, ভারতীয় আগ্রাসনের পর ‘উপযুক্ত জবাব’ দেওয়া হয়েছে। ব্লুমবার্গকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা শুধু পাঁচটি যুদ্ধবিমান নয়, ভারতের ড্রোন ও নিয়ন্ত্রণরেখার কিছু গুরুত্বপূর্ণ পোস্টও ধ্বংস করেছি।”
বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে—এ দুই পারমাণবিক শক্তির যুদ্ধ কতটা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। কূটনৈতিক মহলে সংযমের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
বিআরইউ