Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

শ্রমিকদের পাওনা বাবদ ৪০০ কোটি টাকা দিলেন ড. ইউনূস

মো. মাসুম বিল্লাহ

মে ২৩, ২০২২, ০১:১২ পিএম


শ্রমিকদের পাওনা বাবদ ৪০০ কোটি টাকা দিলেন ড. ইউনূস

গ্রামীণ টেলিকমের চাকরিচ্যুত ১৭৬ জন শ্রমিককে পাওনা বাবদ ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে ৪০০ কোটি টাকা পাওয়ায় গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন চেয়ে করা মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন শ্রমিকরা।

সোমবার (২৩ মে) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক কোম্পানি বেঞ্চে এ তথ্য জানান শ্রমিকদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী।

এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষে এ আবেদন দায়ের করা হয়।

আবেদনকারী সংগঠনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে শ্রমিক অসন্তোষ চলে আসছে। শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (বি-২১৯৪) সিবিএর সঙ্গে আলোচনা না করেই এক নোটিশে ৯৯ কর্মীকে ছাঁটাই করে গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষ। গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুল হাসান স্বাক্ষরিত এক নোটিশের মাধ্যমে এ ছাঁটাই করা হয়েছে। এরপর সেই নোটিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন ২৮ জন কর্মী। এই ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে ড. ইউনূসকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। ২০২১ সালের ০৪ এপ্রিল দিয়েছিলেন শ্রমিকদের পুনর্বহালের নির্দেশ। বিভিন্ন সময় মোট ১৭৬ জন শ্রমিক এ রিটে পক্ষভুক্ত হন।

এছাড়া গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন আদালত।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা তাদের দেওয়া হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে এ মামলা করা হয়।

ইএফ

Link copied!