Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪,

আদালতে স্বাকারোক্তি

ধারের টাকা চাওয়ায় বন্ধুকে খুন

আদালত প্রতিবেদক

আদালত প্রতিবেদক

মে ৭, ২০২৩, ০৪:৫৮ পিএম


ধারের টাকা চাওয়ায় বন্ধুকে খুন

ধরের দুই লাখ টাকা ফেরত চাওয়ায় রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইকরাম হোসেন মোল্লা হত্যা মামলায় নিহতের বন্ধু শান্ত আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এদিন অপর আসামি শান্ত‍‍`র বন্ধু আবু সিদ্দিকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (৭ মে) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার ইন্সপেক্টর এনামুল হক খন্দকার দুই আসামিকে আদালতে হাজির করেন। শান্ত স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড এবং আবু সিদ্দিকের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেনের আদালত শান্ত‍‍`র জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। অপরদিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালত অন্য আসামি আবু সিদ্দিকের দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

ইট-বালুর ব্যবসায় লগ্নি করতে বন্ধু শান্তকে দুই লাখ টাকা দিয়েছিলেন নিহত ইকরাম হোসেন মোল্লা (২২)। বিনিময়ে প্রতি মাসে তাকে হাত খরচার টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছয় মাস আগে টাকা লগ্নি করেও কোনো হাত খরচা পায়নি ইকরাম। উল্টো নেশাগ্রস্ত হয়ে ব্যবসা লাটে উঠার দশা হয় শান্তর।

অন্যদিকে, টাকা চাওয়ায় ও শান্ত নেশাগ্রস্ত এ তথ্য পরিবারকে জানানোয় ক্ষিপ্ত হন শান্ত। তিনি আরেক মাদকাসক্ত বন্ধু আবু সিদ্দিককে সঙ্গে নিয়ে ইকরামকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পুলিশ বলছে, পরিকল্পনা করেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে ইকরামকে। তার চোখও তুলে ফেলা হয়েছিল। হত্যা নিশ্চিত করে ডোবায় ফেলে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল মরদেহ।

এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা কবির হোসেন মোল্লা। মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, গত ৪ মে রাত সোয়া ৮টা থেকে শনিবার দুপুর ১টার মধ্যে যেকোনো সময় পরস্পর যোগসাজশে আমার ছেলে ইকরাম হোসেন মোল্লাকে (২২) হত্যা করা হয়েছে। লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বসুন্ধরা স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশে বসুন্ধরা বালুর মাঠ সংলগ্ন ডোবার পশ্চিম কিনারে ফেলে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখে। মামলায় তিনি বন্ধুদের সঙ্গে টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে বিরোধের বিষয়টি উল্লেখ করেন।

আরএস
 

Link copied!