Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

মুক্তি পেলেন সঙ্গীতশিল্পী নোবেল

আদালত প্রতিবেদক

আদালত প্রতিবেদক

মে ২২, ২০২৩, ০৬:১৩ পিএম


মুক্তি পেলেন সঙ্গীতশিল্পী নোবেল

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাইতে না গিয়ে এক লাখ ৭২ হাজার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানা থেকে মুক্তি পেয়েছেন সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। সোমবার (২২ মে) বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে তিনি মুক্তি পান।

একই দিন এ মামলার শুনানি শেষে নোবেলের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিন। এরপর তার জামিননামা আদালতে দাখিল করা হয়। তখনই তার আইনজীবী জানান, আজই আদালতের হাজতখানা থেকে মুক্তি পাবেন নোবেল।

শনিবার (২২ মে) রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক হুমায়ুন কবির তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন। এসময় মামলার বাদী সাফায়েত ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। পরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

প্রতারণার অভিযোগে গত ১৬ মে রাজধানীর মতিঝিল থানায় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। পরদিন গত ১৭ মে আদালত এ মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ৯ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রথম পূর্ণমিলনী আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার আসামি মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। যোগাযোগের পর নোবেল তাদের রাজধানীর থানাধীন হিরাঝিল হোটেলের দ্বিতীয় তলায় যেতে বলে। গত ২৫ মার্চ মামলার বাদী সাফায়েত ইসলাম ও তার বন্ধু হাবিবুর রহমান দুজন সেখানে যান। এরপর পূর্ণমিলনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে গান গাওয়ার জন্য মোট এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা ঠিক করা হয়। তখন নোবেলকে নগদ ১৫ হাজার টাকা দেয়া হয়৷ এসময় নোবেল অনুষ্ঠানের পূর্বেই অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে জানান এবং তার ব্যাংক একাউন্ট দেন।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, এসএসসি ব্যাচের সদস্যদের থেকে টাকা সংগ্রহ করে গত ৩০ মার্চ সিটি ব্যাংক এটিএম বুথ শরিয়তপুর ব্রাঞ্চ থেকে ৪৭ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এরপর গত ১৪ এপ্রিল একই ব্রাঞ্চ থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা নোবেলের একাউন্টে পাঠানো হয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে তাকে সর্বমোট এক লাখ ৭২ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল। তবে নোবেল জেনে শুনে অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত করেন। 

আরএস
 

Link copied!