আদালত প্রতিবেদক
মে ১২, ২০২৫, ১০:৫৬ এএম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
সোমবার দুপুর ১টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে এ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এ উপলক্ষে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ) এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে এই তিনজনের নির্দেশ ও সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এর আগে শুক্রবার (৯ মে) চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন সোমবার দাখিল করবে বলে আশা করছি। এরপর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিলের মাধ্যমে তার বিচারকাজ শুরু হবে।”
ট্রাইব্যুনালের নিয়ম অনুযায়ী, তদন্ত প্রতিবেদন প্রথমে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে জমা হয়। পরে তা পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়।
২০২৩ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠিত হয়। এরপর গণহত্যা, হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা দায়ের হয়। মামলায় পরবর্তীতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকেও আসামি করা হয়।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার সময় এরই মধ্যে তিনবার বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল সময় বাড়িয়ে ২৪ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। তবে তার আগেই তদন্ত কাজ শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই মামলার বাইরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা রয়েছে। একটি, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সাড়ে ১৫ বছরে গুম ও খুনের অভিযোগে, অন্যটি ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের শাপলা চত্বরে সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে।
এদিকে, চানখাঁরপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা আরেক মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ইতোমধ্যে জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ চলতি সপ্তাহেই দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর।
তিনি বলেন, “চানখাঁরপুল হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর বিচার শুরু হবে এবং এর মাধ্যমে জুলাই গণহত্যার আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।”
ইএইচ
