Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪,

এপিএর শতভাগ বাস্তবায়ন দেখতে চাই: গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী

মো. মাসুম বিল্লাহ

জুন ২৯, ২০২২, ০৮:৪৭ পিএম


এপিএর শতভাগ বাস্তবায়ন দেখতে চাই: গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী

গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি বলেছেন বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি ২০২২-২৩ এর শতভাগ বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

বুধবার  (২৯ জুন) সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর/সংস্থা সমুহের মধ্যে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির শর্তসমূহ প্রত্যেকটি দপ্তর/সংস্থা তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী নিজেরাই সুপারিশ করেছেন। সুপারিশের প্রেক্ষিতেই চুক্তিপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। নতুন করে মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোন বাড়তি কাজ কোন দপ্তর বা সংস্থার উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। সুতরাং এই চুক্তি শতভাগ বাস্তবায়নের জন্য সকল দপ্তর/সংস্থা সরকারের নিকট দায়বদ্ধ। এর বিন্দুমাত্র ব্যাত্যয় সহ্য করা হবে না।

প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ে সকল প্রকল্পের কাজ যথাযথ গুণগত মান বজায় রেখে সমাপ্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) একটি বড় মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। তাছাড়া সকল মন্ত্রণালয় ও দপ্তর/সংস্থার এপিএ বাস্তবায়ন হারের উপর জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি নির্ভর করে। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি শতভাগ বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই।

উল্লেখ্য বুধবার গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর/সংস্থাসমূহের মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিপত্রে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার এবং দপ্তর/সংস্থাসমূহের পক্ষে দপ্তর সংস্থার প্রধানগণ স্বাক্ষর করেন। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর, সরকারি আবাসন পরিদপ্তর, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং সম্প্রতি গঠিত গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ তেরোটি দপ্তর সংস্থা মন্ত্রণালয়ের সাথে চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর করেন। 
এপিএ স্বাক্ষর শেষে ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়। 

২০২০-২১ অর্থবছরে গ্রেড- ১ হতে গ্রেড- ১০ ভুক্ত কর্মচারী ক্যাটাগরিতে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ-২) জনাব মোঃ শওকত আলী, দপ্তর/ সংস্থার প্রধান ক্যাটাগরিতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ দেলোয়ার হায়দার এবং গ্রেড- ১১ হতে গ্রেড- ২০ ভুক্ত কর্মচারী ক্যাটাগরিতে প্রশাসন অধিশাখা-৬ এর অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক জনাব হালিমাকে  শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়।

২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য মন্ত্রণালয়ের গ্রেড-০১ হতে গ্রেড-০৯ ভুক্ত কর্মচারী ক্যাটাগরিতে প্রশাসন-২ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছিউদ্দিন, দপ্তর/সংস্থার প্রধান হিসেবে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে: কর্নেল (অব:) ফোরকান আহমদ এলডিএমসি, পিএসসি, মন্ত্রণালয়ের গ্রেড-১০ হতে গ্রেড-১৬  ভুক্ত কর্মচারী ক্যাটাগরিতে প্রশাসন অধিশাখা-৫ এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা জনাব মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম এবং গ্রেড- ১৭ হতে গ্রেড -২০ ভুক্ত কর্মচারী ক্যাটাগরিতে সচিবের দপ্তরের অফিস সহায়ক মোঃ ফরহাদ হোসেনকে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়।
 

Link copied!