Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪,

বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত ২১ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা

মো. মাসুম বিল্লাহ

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২, ০৯:৩৭ পিএম


বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত ২১ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখায় বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত ২১ মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে। 

বিমান বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর স্কাইলাইন রেস্টুরেন্টে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে অবসরপ্রাপ্ত বিমান বাহিনী সদস্য কল্যাণ সমিতি।

বাহিনীর সংবর্ধনা পাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন-

অব. ডিআইজিপি বীর প্রতিক কাজী জয়নাল আবেদীন, অব. মেজর বীর প্রতিক আলী আশরাফ,  অব. বীর প্রতিক রতন আলী শরিফ, বীর প্রতিক হেলালুজ্জামান, বীর প্রতিক এসএম নুরুল হক, অব. স্কোয়াড্রন লীডার হোসাইন আহমেদ, অব. স্কোয়াড্রন লীডার কাজী মফিজুল ইসলাম, মরহুম ক্যাপ্ট. মোহাম্মদ আলী (সমিতির প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা) এর পক্ষে তার বড়ছেলে মহিউদ্দিন সিদ্দিক (বাবু), এমটি ফিটার মোস্তফা মোমেন, আর্মামেন্ট ফিটার জাফর আহমেদ, এয়ারগানার হাফিজ খান, সরবরাহ সহকারী আব্দুল মান্নান, জেনা. ইঞ্জি. খুরশীদ আলম, এমটি ফিটার রজব আলী, ক্লার্ক জিডি হুমায়ুন কবির, প্রভোষ্ট নুরুল হক, ফ্লাইট ইঞ্জি. হাসমত উল্লাহ, ইএন্ডআই আবুল খায়ের, প্রভোস্ট আবুল বাশার, ইনস্ট্রুমেন্ট সাইফ উল্লাহ এবং এমটিও আমজাদ হোসেন।

সমিতির সভাপতি এমএ বাশার পাটোয়ারী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ছাড়াও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, অসহযোগ আন্দোলন এবং ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে কর্মরত বাঙালি বৈমানিকদের গভীরভাবে প্রভাবিত ও উদ্দীপ্ত করে। 

যুদ্ধ শুরু হলে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বাঙালি বৈমানিকরা পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। অনেকে পালিয়ে আসার সময় পাকিস্তানিদের হাতে বন্দি হয়ে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন। 

ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট এম মতিউর রহমান পাকিস্তান থেকে যুদ্ধবিমান ছিনতাই করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের চেষ্টাকালে ওই বিমান দুর্ঘটনায় শাহাদতবরণ করেন। বাংলাদেশে অবস্থানরত বাঙালি বৈমানিকরাও পালিয়ে ভারতে যান এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই বাংলাদেশ। 

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সৈনিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন এবং স্থল যুদ্ধের প্রস্তুতি ও পরিচালনায় সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। তাই সেসব বীর সেনাদের আজ আমরা সংবর্ধনা জানাতে পেরে সত্যিই গর্বিত।

সমিতির সভাপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, মিয়া এইচ জাকির, সমিতির সহ-সভাপতি মো. সাইফুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন, সাবেক সভাপতি মো. মোবারক উল্লাহ, প্রধান পরামর্শক আনোয়ার শরীফ প্রমুখ।

আমারসংবাদ/এসআর

Link copied!