ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫
Amar Sangbad

ঈদের পরও মাংসের বাজারে মন্দাভাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ২৮, ২০২৫, ১২:০৬ এএম

ঈদের পরও মাংসের বাজারে মন্দাভাব

ঈদুল আজহার তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো রাজধানীর বাজারে কোরবানির মাংসের প্রভাব রয়ে গেছে। গরু ও খাসির মাংসের দোকানগুলোতে নেই আগের মতো ভিড়। দামও কমেনি, আছে ঈদের আগের অবস্থানেই। অন্যদিকে মাছ ও মুরগির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এসব পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে, যা স্বস্তি দিচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের। 

গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিরপুর, মগবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এদিন বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। খাসির মাংসের দাম ১১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০ টাকা কেজি। 

তবে বিক্রেতারা জানান, এই দামে মাংস বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। কোরবানির পর যাদের ঘরে মাংস রয়েছে, তারা নতুন করে বাজার করছেন না। 

এদিকে, বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়, যা ঈদের আগে ছিল ১৬০-১৭০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম ২২৫-২৩৫ টাকা, লাল লেয়ার ২৪০ টাকা ও সাদা লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকায়। 

তবে, দেশি মুরগির দাম এখনো চড়া ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা প্রতি কেজি। এ ছাড়া হাঁস বিক্রি হচ্ছে জাতভেদে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা প্রতি পিস দরে। ডিমের দামেও ঈদের পর থেকে ক্রমাগত কমতির ধারা চলছে। পাইকারি বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৮ থেকে ১২০ টাকায় আর খুচরা পর্যায়ে এসব ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকায়, যেখানে কয়েক সপ্তাহ আগেও এটি ছিল ১৩৫-১৪০ টাকা। 

তবে পাড়া-মহল্লার খুচরা দোকানগুলোতে এখনো ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ঈদের সময় মাছের বাজারে যে খরা ছিল, এখন তা কেটে গেছে। বাজারে এখন সহজলভ্য রুই, কাতল, পাবদা, চিংড়ি, টেংরা, শিং, কৈসহ সব ধরনের মাছ। সরবরাহ বেশি থাকায় দামেও নেই বড় ধরনের উল্লম্ফন। বড় রুই ও কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৪০ টাকা কেজিতে। পাবদা ৩৫০-৪০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০-৭০০, টেংরা ৬০০-৭০০, শিং ৪০০-৪৫০ ও কৈ ২০০-২২০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস পাওয়া যাচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়। তবে, দেশি জাতের শিং ও কৈ এখনো দুষ্প্রাপ্য (প্রতি কেজি ১০০০-১২০০ টাকা)। 

মিরপুর-৬ কাঁচাবাজারে মুরগি কিনতে আসা গৃহিণী তামান্না জাকিয়া বলেন, ঈদের পর এখন গরুর মাংস খেতে ইচ্ছে করে না, আবার দামও বেশি। ব্রয়লারের দাম একটু কমেছে দেখে দুই কেজি নিলাম। রান্নাও সহজ, খরচও কম। 

তিনি আরও বলেন, আজকে মাছও ভালো দেখলাম। পাবদা আর তেলাপিয়া নিলাম। বাচ্চারাও খায়, রান্নায় সময়ও কম লাগে। মুদি দোকানদার তাওফিক হোসেন বলেন, ডিম এখন নিত্যপ্রয়োজনীয়। আগের তুলনায় ১৫-২০ টাকা কমে পাচ্ছি, সাশ্রয় হচ্ছে। তবে খুচরায় এখনো বেশি রাখছে। এটা ঠিক না। 

ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির বিক্রেতা সাইফুদ্দীন বলেন, ঈদের পর থেকে বিক্রি বাড়ছে। মানুষ এখন হালকা খাবার খাচ্ছে। কেজিতে দাম কিছুটা কমলেও লাভ হচ্ছে না, কারণ মার্জিন কমে গেছে।  

তিনি বলেন, সোনালি মুরগির চাহিদা বাড়লেও দাম বেশি থাকায় দেশি মুরগির বেচাবিক্রি কম। যারা গরুর মাংস কিনছেন না, তারা এখন মাছ-মুরগির দিকেই ঝুঁকছেন। মগবাজারের মাছ বিক্রেতা ফরিদুল বলেন, ঈদের সময় মাছ বিক্রি প্রায় বন্ধ ছিল। এখন আবার বাজারে ভিড় বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে রুই, কাতল, পাবদা। সরবরাহ ভালো হওয়ায় দামও স্থিতিশীল বলে জানান তিনি।

Link copied!