ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

১২৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আড়াই কোটি টাকার বিল বকেয়া বিটিসিএলের

বিশেষ প্রতিবেদক

বিশেষ প্রতিবেদক

আগস্ট ২০, ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম

১২৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আড়াই কোটি টাকার বিল বকেয়া বিটিসিএলের

দেশের ১২১টি কারিগরি কলেজ এবং তিনটি মাদ্রাসায় ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন ও বিল বাবদ বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)-এর বকেয়া ২ কোটি ৬১ লাখ ৬৪ হাজার ২১ টাকা রয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে বিটিসিএলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত ১৮ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আইসিটি অধিশাখা এবং ১৯ আগস্ট কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের (সমন্বয়, এপিএ ও আইসিটি) শাখা-২ থেকে প্রকাশিত স্মারকে বৈঠকের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

গত ৭ আগস্ট তৎকালীন সচিব ড. খ. ম. কবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ বিষয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জানা যায়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনে বিটিসিএল ২০২০ সালে ১২১টি কারিগরি ও তিনটি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও ওয়াইফাই চালুর উদ্যোগ নেয়। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ২০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ সংযোগ দেওয়ার কথা ছিল।

আগস্ট ২০২১ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত সময়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া সেবার বিপরীতে ২ কোটি ৬১ লাখ ৬৪ হাজার ২১ টাকার বিল জমা হয়েছে। বকেয়া বিল যাচাই করতে শিক্ষা বিভাগ গত বছরের ডিসেম্বরে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি ঢাকা, নরসিংদী, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের ১২টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দেয়।

বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা বৈঠকে জানান, সংযোগ সচল থাকলে স্বল্প খরচে মানসম্মত ইন্টারনেট সেবা পাওয়া সম্ভব। তবে বকেয়া বিল পরিশোধের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তাদের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষ।

বৈঠকে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসমূহ হলো

১. সংযোগ সচল থাকলে ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো বিদ্যমান হারে বিল পরিশোধ করবে।

২. নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে দুটি ব্রডব্যান্ড সংযোগ থাকবে—একটি বিটিসিএল, আরেকটি বিকল্প হিসেবে সরকারি বা বেসরকারি সংযোগ।

৩. কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের বাইরে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিল সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাবে বিটিসিএল।

৪. বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিল সরাসরি তাদের কাছে পাঠানো হবে।

৫. এপি ব্যবস্থার পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানের রাউটার বা লোকাল নেটওয়ার্কে ব্যান্ডউইথ সংযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, জুন ২০২৫ পর্যন্ত কোন প্রতিষ্ঠানে কত দিন সংযোগ সচল ছিল তার হালনাগাদ তথ্য কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বিভাগে পাঠাতে হবে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে বকেয়া বিল সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ইএইচ

Link copied!