Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

ঢাকার পুলিশ নিরপেক্ষ ছিলো: আমান

মো. মাসুম বিল্লাহ

মার্চ ৬, ২০২৩, ০৮:৫২ পিএম


ঢাকার পুলিশ নিরপেক্ষ ছিলো: আমান

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, বিএনপির কর্মসূচিতে ঢাকার পুলিশ নিরপেক্ষ ছিলো, দু’একটা যায়গায় ছাড়া। তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

সোমবার (৬ মার্চ) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত যুবদলের সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

আমান বলেন, যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার সময় তার। যুগে যুগে তরুণরা সব করেছে। মুক্তিযুদ্ধ থেকে আন্দোলনে তারাই সামনে ছিলো। তাদেরকে আরেকটি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এই সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। দেশ বিদেশে নির্বাচন কেউ গ্রহণ করেনি। সম্প্রতি জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেছেন, পুলিশের সাহায্যে ভোট হয়েছে।  সরকার যেদিন সেনসন পাবে সেদিন বলবে আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, অতীতের মতো আগের রাতে নির্বাচন করার জন্য আর স্বপ্ন দেখবেন না।

বিএনপি সংলাপে যাবে না উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমরা কোনো সংলাপ চাইনি, আমরা তো চেয়েছি সরকারের পদত্যাগ। অনেক চুরি-ডাকাতি করেছেন। বিদায় হন। দেশের জনগণকে বাঁচান।দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। আর যারা নির্বাচনে যেতে চান বা যাবেন তাদের কারও পা আস্ত থাকবে না।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা রাজনৈতিক আচরণ শিখুন। মানুষকে সম্মান দিয়ে কথা বলুন। মানুষের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। আমাদের নেত্রী তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আমাদের আমলে কখনোই বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো খারাপ মন্তব্য করা হয়নি। ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়’ আওয়ামী লীগ নেতার এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে কখনোই ভয় পায়নি। এখন পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিএনপির তিনবার ক্ষমতায় গিয়েছে, কিন্তু কখনো ভোট চুরি করেননি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় কেন? তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো আপনাদের দাবি বিএনপির দাবি নয়, কখনোই ছিল না। এখন আপনাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় কেন। বলতে চাই- আপনারাই নির্বাচনে ভয় পান। আপনার নির্বাচনে ভয় পান এটাও সঠিক নয় আপনারা দেশের জনগণকে ভয় পান। এদেশের মানুষকে ভয় পান কারণ আপনারা যে লুটপাট চুরি হয়েছে আমারই করেছেন তার বিচার তো একদিন হবেই। সুতরাং আপনারা জনগণকে ভয় পান।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা সবসময় বলেন- জিয়াউর রহমান নাকি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি নাকি পাকিস্তানের চর ছিলেন; প্রধানমন্ত্রী তাহলে ৭২ সালে ক্ষমতায় ছিল কারা? আপনার বাবা-ই তাকে উপাধি দিয়েছিল তাহলে আপনার বাবার শাস্তি হওয়া উচিত।

বুলু বলেন, ১৪ সালের মতো যদি মনে করেন দেশে আরেকটি নির্বাচন হবে; তাহলে সেটা ভুল করবেন। এই দেশে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না। একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরবসহ কারাবন্দিদের মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সঞ্চালনায়, আব্দুস সালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুব দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, গোলাম মোস্তফা সাগর, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, দফতর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল ও যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন মামুন প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!