ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad
জামায়াত আমির

দেশের সম্পদ চুরি করা লোকদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

মে ৩, ২০২৫, ০১:৫১ পিএম

দেশের সম্পদ চুরি করা লোকদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২৬ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে দেশের সম্পদ যারা চুরি করেছে, তাদের বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।’

শনিবার (৩ মে) সকালে রাজধানীর মগবাজারে দলটির জেলা ও মহানগর আমিরদের নিয়ে আয়োজিত এক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময়ে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। জনগণের অর্থ লুটপাট করে দেশের অর্থনীতি দুর্বল করা হয়েছে। এর সঠিক হিসাব জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে।’

দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘নির্বাচনের জন্য আমরা দুটি সময়কে উপযুক্ত মনে করি—রোজার আগের ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিলের মধ্যে। কারণ, এরপর ঈদ, বর্ষা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আসে। সেই সময় নির্বাচন কঠিন হয়ে পড়ে।’

সংস্কার কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও গতি আনার উপর গুরুত্বারোপ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘যদি আক্ষরিক অর্থে সংস্কার হয় এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেন, তবে এই সময়সীমার মধ্যেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব।’

তিনি বলেন, একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ নির্বাচনের জন্য জাতি অপেক্ষা করছে। পেশিশক্তি ও কালো টাকার প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে হলে দেশে পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচন দেওয়া জরুরি, যা বিশ্বের অনেক দেশে চর্চিত হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

নারী কমিশনের প্রস্তাব প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, ‘কমিশনের কিছু সুপারিশ সরাসরি কোরআনের বিরোধী। এসব বাস্তবায়িত হলে দেশের পারিবারিক কাঠামো ধসে পড়বে। কোরআনবিরোধী এসব প্রস্তাব প্রত্যাহার করতে হবে।’

সরকারের কিছু উপদেষ্টার ‘অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ’ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘তারা মাঝে মাঝে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেন। তাদের দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত।’

শেষে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘চাঁদাবাজিসহ নানা সামাজিক অপকর্ম যদি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে, তবে জনগণের ঘৃণা তাদের দিকে ধাবিত হবে। দেশের রাজনীতিকে পরিচ্ছন্ন ও জনবান্ধব করতে না পারলে আস্থার সংকট ঘনিয়ে আসবে।’

বিআরইউ

Link copied!