নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ১৫, ২০২৫, ০৭:২৬ পিএম
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে ভবিষ্যতে যেন কেউ একতরফা হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সে লক্ষ্যে গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে সংবিধানে সংশোধনীটা আমরা আরও শক্তিশালী করতে চাই। যাতে কেউ ভবিষ্যতে ইচ্ছেমতো এই ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে না পারে। আমাদের প্রস্তাব—এ নিয়ে যদি পরিবর্তন আনতে হয়, তবে তা জনগণের রায় অনুযায়ী গণভোটের মাধ্যমেই হতে হবে।”
বৈঠকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠন নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, “উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ নিয়ে নানা মত থাকায় ঐকমত্য হয়নি। তবে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনে সম্মত। পার্লামেন্টের কাঠামো, ক্ষমতা ও কার্যপরিধি নিয়ে এখনো বিতর্ক রয়েছে।”
বিএনপি তাদের ৩১ দফার ভিত্তিতে একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে, যেখানে উচ্চকক্ষের ১০০ আসনে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও অভিজ্ঞ পেশাজীবীদের প্রতিনিধিত্বের কথা বলা হয়েছে।
সংরক্ষিত নারী আসনের অনুপাতে প্রতিনিধি বাছাই, প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতি ও উচ্চকক্ষের ক্ষমতা নির্ধারণ—এগুলো নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সালাহউদ্দিন বলেন, “সাধারণ বিল এবং সংবিধান সংশোধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উচ্চকক্ষের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়েও মতবিরোধ রয়েছে। সবাই একমত হতে পারেনি।”
তিনি আরও বলেন, “দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট আদৌ দরকার আছে কি না—সেটিও প্রশ্ন তুলেছে অনেক দল। দেশের আর্থিক বাস্তবতায় নতুন একটি সংসদ গঠন ও তার ব্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।”
সংবিধান সংশোধনের পদ্ধতি, সংসদের ক্ষমতা ও কাঠামো, এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আগামী রোববার ঐকমত্য কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে। এরপর আমরা আমাদের মতামত জানাবো।”
ইএইচ