ক্রীড়া ডেস্ক
মে ৩০, ২০২৫, ০৬:৫৬ পিএম
ক্রীড়া ডেস্ক
মে ৩০, ২০২৫, ০৬:৫৬ পিএম
লম্বা সময় ধরে ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ। অথচ দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেট খেলেও প্রত্যাশিত উন্নতি করতে পারেনি টাইগাররা। অথচ আইসিসিরি উঠতি দল হিসেবে নান্দনিক পারফরম্যান্স করে যাচ্ছে এশিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তান।
ক্রিকেট থেকে অবসরে যাওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) অধীনে ক্রিকেট ডেভেলপমেন্টের অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশে কাজ করেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আমিনুল দেশের বাইরে থাকলেও দেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন নিয়ে সব সময় চিন্তা-ভাবনা করেছেন; কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক এই অধিনায়ককে দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে অবদান রাখতে তেমন কেউ আগ্রহ দেখায়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হন সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। তার অধীনেও ক্রিকেটে তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। শুধু তাই নয়, তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে অনাস্থা দেন ক্রিকেট বোর্ডের ৮ জন পরিচালক।
তাদের সেই অনাস্থার জবাবে বৃহস্পতিবার ক্রিকেট বোর্ডে ফারুক আহমেদের পরিচালক পদ প্রত্যাহার করে নেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ফলে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির চেয়ার হারান ফারুক আহমেদ। তার পরিবর্তে আজ শুক্রবার সাবেক অধিনায়ক আমিনুলকে পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেয় ক্রীড়া পরিষদ। বিকালে বোর্ড সভায় পরিচালকদের সর্বোচ্চ ভোটে বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
দেশের ক্রিকেটের হাল ধরতে আইসিসির চাকরি ছেড়ে দেশে ফেরা প্রসঙ্গে আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, এখানে কিছু কথা বলে রাখা প্রয়োজন। এক সময় আইসিসিতে আমার চাকরিটা ছিল পার্মানেন্ট। পরে আমি নিজেই চুক্তিভিত্তিক হয়ে যাই। এর সুবিধা হলো বেতন একটু বেশি পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে সুযোগ-সুবিধাও বেশি। প্রতি বছর চুক্তিটা পরবর্তী এক বছরের জন্য নবায়ন হয়। এই জুনেই আমার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তবে পরবর্তী এক বছরের জন্য নবায়ন আর করছি না।
তিনি আরও বলেন, বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেব বলে চাকরিটা ছেড়েই এসেছি বলতে পারেন। বর্তমান চুক্তির আর এক মাস মেয়াদ বাকি আছে আমার। আমি আইসিসির সঙ্গে কথা বলেই এখানে এসেছি। চাকরি তো আর কারো জন্য বসে থাকে না। তবে আইসিসি থেকে বলা হয়েছে, আমি যখনই আবার চাকরিতে ফিরতে চাইব, আমাকে তৎক্ষণাৎ নেওয়া হবে। তার আগে আপাতত যে দায়িত্বটা আমাকে দেওয়া হচ্ছে, সেটি মন-প্রাণ দিয়ে করতে চাই। বলা যায়, সব কিছু ছেড়েই আমি এসেছি। দেশের ক্রিকেটের জন্য কাজ করতে চাই।
আরএস