Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

কুবি প্রক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

আহমেদ ইউসুফ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

আহমেদ ইউসুফ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২, ১১:৩৯ এএম


কুবি প্রক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়া ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আইন অমান্য করে প্রক্টর হওয়া, মাদককে প্রশ্রয়, ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নির্লিপ্ততা, উপাচার্যের কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তার, সম্প্রসারিত প্রকল্পে ভূমি বাণিজ্য, প্রভাব বিস্তার করে ভূমি বাণিজ্যে জড়িতদের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ পাইয়ে দেওয়া সহ বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। তবে এসকল অভিযোগ থাকলেও বহাল তবিয়তে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর পদে রয়েছেন ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের এই সহকারী অধ্যাপক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকগণ জানান, এসকল কর্মকান্ডের মাধ্যমে এই সহকারী অধ্যাপক মূলত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈনের প্রশাসনকে বিপদগামী করছেন। এমনকি বিভিন্ন উপাচার্যের প্রথমদিকে তিনি বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের নামে স্বার্থ উদ্ধার করেন এবং শেষ সময়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধাচারণ করেন। এসকল ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি হুমকির মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিশিষ্টজনেরা।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ঘেঁটে জানা যায়, ২০০৬ (সংশোধিত) এর ১৫ অনুচ্ছেদের ১ নং ধারায় বলা হয়েছে, ভাইস-চ্যান্সেলরের সুপারিশক্রমে, শিক্ষা প্রশাসনে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নুন্যতম সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদাসম্পন্ন শিক্ষকগণের মধ্য হইতে সিন্ডিকেট কর্তৃক দুই বৎসরের জন্য একজন প্রক্টর এবং প্রয়োজনে, সহকারী অধ্যাপক পদমর্যাদাসম্পন্ন শিক্ষকগণের মধ্য হইতে এক বা একাধিক সহকারী প্রক্টর নিযুক্ত হইবেন।

তবে গত ২২ মার্চ কাজী ওমর সিদ্দিকী ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭২ জন সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০ জন অধ্যাপক কর্মরত ছিলেন। কিন্তু অজানা কারণে সহকারী অধ্যাপক হয়েও এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অধ্যাপকেরা।

ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম্স বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আইন আছে। সেটি অমান্য করে একজন সহকারী অধ্যাপককে এ পদে দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৫ জন (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) অধ্যাপক এবং সহযোগী অধ্যাপক আছেন। কেন দেয়া হয়েছে এ বিষয়ে প্রশাসন ব্যাখ্যা দিতে পারবে।

এদিকে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজী নজরুল ইসলাম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০ থেকে ৩৫ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের নিরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাকর্মীরা। তাদের মতে, প্রক্টর সেখানে উপস্থিত থেকেও উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো তিনি এই সংঘর্ষকে বিভিন্নভাবে উস্কে দিয়েছেন।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ জানান, সেদিনের ঘটনায় খোদ প্রক্টরই সম্পৃক্ত। ছাত্রলীগের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরীর জন্য তিনি দুই হলের নির্দিষ্ট কিছু নেতাকর্মীদের সাথে বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার কথা বলেছেন। তার একমাত্র উদ্দেশ্য। বিশৃঙ্খলা তৈরীর জন্য সেদিন দুই হলের কিছু নির্দিষ্ট নেতাকর্মীদের সাথে তাকে বিভিন্ন স্থানে কথা বলতে দেখা যায়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কয়েকজন শিক্ষক সরাসরি জড়িত। আমি গোয়েন্দা সংস্থাদেরও বিষয়টি জানিয়েছি।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী আল নাঈম বলেন, শুক্রবার দুপুরে উত্তেজনার সৃষ্টি। এর পর রাতে এতটা ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। প্রশাসনের উচিত ছিল তখনি পুলিশ মোতায়েন করা। কমিউনিটি এংগেজমেন্টের যে এজেন্ডা প্রশাসন বাস্তবায়ন করবে বলছে সেটি প্রতিষ্ঠিত হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতো বলে আমার মনে হয় না।

অভিযোগ আছে, বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মাদকসেবিরা হাতেনাতে ধরা পড়লেও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর না করে নামমাত্র মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেন প্রক্টর। গত ১৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহায়তায় মাদক সেবনরত অবস্থায় এক চলমান শিক্ষার্থীসহ চারজনকে আটক করে প্রক্টরিয়াল টিম। তবে আটককৃতদের কাজী ওমর সিদ্দিকীর উপস্থিতিতে প্রক্টর অফিস থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ এবং পরবর্তীতে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

যদিও সেসময়ে এ ঘটনায় উপস্থিত কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ বিষয়। তারা তাদেরকে (মাদকসেবীদের) আমাদের হাতে তুলে দেয়নি। প্রক্টর স্যারই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এছাড়াও সম্প্রতি গত ১৮ আগস্ট মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে ১২ থেকে ১৪ জন শিক্ষার্থী মাদক সেবন করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে সেখানে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ উপস্থিত হয়ে মাদকসেবিদের চলে যেতে বলেন।

তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী তথ্য পেয়ে রেজাউল ইসলাম মাজেদকে সেখানে পাঠান এবং মাদকসেবিদের সটকে যেতে বলেন।

যদিও প্রশাসনিক কোন ব্যক্তি আমাকে তথ্য দেয়নি দাবি করে রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, আমি এমনিতেই সেদিন হলের নিচে ছিলাম। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীদের দেখতে পেয়ে তাদের চলে যেতে বলি। তবে তারা মাদক সেবন করছিলেন কিনা সেটা বলতে পারব না।

একইরকম ঘটনা ৮ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্ছে ঘটে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষার্থীকে সেখানে বসে মাদকসেবন করতে দেখা যায়। যার ধারণকৃত ছবি এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। এঘটনায় প্রতিবেদক তাৎক্ষণিকভাবে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকীকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। এবং পরবর্তীতে এ বিষয়ে আর কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

ক্যাম্পাসে চলমান মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা যেকোনো স্থানে অভিযান পরিচালনা করতে পারি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনুমতি না দিলে সেখানে আমাদের প্রবেশ করা সম্ভব নয়। আর এসকল ঘটনা আমাদের ইতোপূর্বে কেউ জানায়নি। কতৃপক্ষ বিবেচনা করলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারব।

প্রক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ১১তম সভায় অনুমোদিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে ভূমি বানিজ্যের সাথে তিনি জড়িত। সম্প্রতি প্রকল্পে সীমাহীন ভূমি বানিজ্যের বিষয়টি জনসম্মুখে আসে। অধিগ্রহণের বিভিন্ন নথি থেকে পাওয়া যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী ভূমি অধিগ্রহণের পূর্বে ৬১১৩ এবং ৬১১৪ নাম্বার দাগে নিজের নামে জমি ক্রয় করে রাখেন।

নিজের নামে ছাড়াও অন্য ব্যাক্তির নামেও জমি কিনেছেন তিনি। ৬১১৪ নাম্বার দাগে জমির দখলদার আবদুর রাজ্জাক, আবদুছ সালাম হলেও সেখানে কাজী ওমর সিদ্দিকীর মোবাইল নাম্বার দেয়া আছে। আবদুর রাজ্জাক কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ারের গাড়ি চালক। অভিযোগ আছে ওমর সিদ্দিকী উপজেলা চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠদের একজন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে অধিগ্রহণের পূর্বে গত ১০ বছরেও কোন জমি কেনাবেচা হয়নি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণের খবরে জমি কেনাবেচার হিড়িক পড়ে। যেখানে অধিগ্রহণের বিভিন্ন নথিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও একাধিক ব্যাক্তিবর্গের নাম পাওয়া যায়।

এছাড়াও ভারপ্রাপ্ত এ প্রক্টরের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে ব্যাক্তিগত সিন্ডিকেট সদস্যদের পদ পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত ১৯ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত শেখ হাসিনা হলে নতুন প্রভোস্ট হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের আরেক সহকারী অধ্যাপক মো. সাহেদুর রহমানকে এবং ৪ আগস্ট নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণী হলে প্রাধ্যক্ষ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জিল্লুর রহমানকে নিয়োগ পাইয়ে দিয়েছেন। যারা উভয়েই কাজী ওমর সিদ্দিকীর সাথে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের পূর্বে ৬১১৩ এবং ৬১১৪ নাম্বার দাগে জমি ক্রয় করে রেখেছেন।

প্রশ্ন উঠেছে ভূমি বাণিজ্যে জড়িত একই ব্যক্তিরাই কিভাবে প্রশাসনিক পদগুলোতে নিয়োগ পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিনিয়র অধ্যাপকগণ অভিযোগ করেছেন ওমর সিদ্দিকী উপাচার্যের কার্যক্রমে সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতেও নিজের পছন্দের ব্যাক্তিদের পদ পাইয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম স্বাধীনভাবে বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধক হিসেবে দেখছেন তারা।

সার্বিক ঘটনার প্রেক্ষিতে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সভাপতি রোকেয়া বেগম শেফালী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসকল অনিয়ম দুর্নীতির কথা জানেনা নাকি জেনেও চুপ, সেটা বুঝে আসছেনা। উর্ধ্বতন প্রশাসনের উচিত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং অভিযোগ খতিয়ে দেখা। জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে এধরণের ঘটনাপ্রবাহ উদ্বেগের। একইসাথে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সিনিয়র অধ্যাপক জানান, ওমর সিদ্দিকী নিজের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে প্রশাসনকে ব্যাবহার করে বিভিন্নসময়ে উপাচার্যের সিদ্ধান্তে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষকদের একটি সিন্ডিকেট আছে যারা যেকোনো উপাচার্যের আমলে তাদেরকে বিশেষ ভাষা, পরিবেশ, পরিস্থিতি দিয়ে বশ করেন। পরবর্তীতে ক্ষমতার পালাবদল ঘটলেও তারা বরাবরই ক্যাম্পাসে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। এই অদৃশ্যমান শিক্ষক সিন্ডিকেটের একজন সক্রিয় সদস্য কাজী ওমর সিদ্দিকী।

বিগত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীর মেয়াদের শুরুর দিকে ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল ওমর সিদ্দিকী কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পান। আবার ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স কমিটির সদস্য হন। কিন্তু পরবর্তীতে মেয়াদের শেষের দিকে প্রক্টর পদে নিয়োগ না পেয়ে এবং বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে কাজী ওমর সিদ্দিকীসহ শিক্ষকদের একটি অংশ এমরান কবির চৌধুরীর সরাসরি বিরোধিতা করেন।

কথা বলতে চাইলে সিনিয়রদের ডিঙিয়ে প্রক্টর হওয়ার বিষয়ে কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নাই। আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং আইনের মধ্যে রেখেই দেয়া হয়েছে। পদ দেয়ার বিষয়ে আমি কেন মন্তব্য করব?

ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নির্লিপ্ততার বিষয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমরা উপস্থিত ছিলাম এবং হল প্রশাসনসহ আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমকে নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছি। পদক্ষেপ নেয়নি এমনটা বানোয়াট কথা।

মাদককে প্রশ্রয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, যাদেরকে হাতেনাতে ধরা হয়েছিল তাদের পিতামাতাকে ডেকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের বাহিরের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর বিভিন্ন সময়ে কারা মাদক গ্রহণ করেছে এমন তথ্য আমার কাছে নেই। এগুলো অনুমান নির্ভর কথা। কেন্দ্রীয় মাঠে যারা ছিল তাদের কাছে কোন মাদক পাওয়া যায়নি। একজন সহকারী প্রক্টর সেখানে গিয়েছিলেন।

জমি ক্রয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার টাকা দিয়ে আমি জমি কিনেছি। এখন সেটা যদি অধিগ্রহণ এলাকায় পড়ে যায় আমি কি করব? আর আমরা শিক্ষকগণ মিলে জমি ক্রয় করতেই পারি। তবে আমি কাউকে পদ পাইয়ে দিব কিভাবে? উপাচার্য মহোদয় আমাকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন। উনার কাজে আমি কোনভাবেই প্রভাব বিস্তার করছি না।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আব্দুল মঈন বলেন, এসব বিষয়ে আমার কোন মস্তব্য নাই। আর আমার কাছে এ বিষয়ে কোন তথ্য নেই। তথ্য পেলে মন্তব্য করতে পারব। তবে আমার একটাই কথা, যে বা যারাই অন্যায় করুক তাদের সুবিচার হওয়া উচিত। তবে এর আগে যারা এসকল অন্যায়ের বিচার করেনি তাদেরকেও আগে প্রশ্ন করা উচিত।

Link copied!