ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

৫০ লাখ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ২৫, ২০২২, ০২:২৯ এএম

৫০ লাখ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি পণ্য হিসেবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ভবিষ্যতে এই খাতে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বৃহস্পতিবার চামড়া শিল্পে সুষ্ঠু শিল্প সম্পর্ক উন্নয়নে ও শ্রম অধিকার সম্পর্কিত একটি জাতীয় সেমিনারে সলিডারিটি সেন্টার, বাংলাদেশ অফিসের প্রোগ্রাম অফিসার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মূল প্রবন্ধে এই তথ্য জানান।

সলিডারিটি সেন্টার, বাংলাদেশ অফিসের কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এ কে এম নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির পরিচালক ড. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশনের (বিএলএফ) মহাসচিব জেড এম কামরুল আনাম, এশিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোহাম্মদ সাদাত সদরুদ্দিন শিবলী, বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন এবং বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক।

চামড়া শিল্পে সুষ্ঠু শিল্প সম্পর্ক উন্নয়নে পাঁচ-দফা সুপারিশ পেশ করে মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা ও সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়নে মালিক পক্ষ, শ্রমিক পক্ষ ও সংশ্লিষ্ট সবার অংশগ্রহণে একটি পূর্ণাঙ্গ কৌশলপত্র প্রণয়ন করা দরকার।

এছাড়া, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর থেকে শ্রমিক-মালিক উভয়েই যেন দ্রুত সহযোগিতা পান সে লক্ষ্যে সরকারের নীতিনির্ধারক মহল থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ, চামড়া শিল্প এলাকায় একটি স্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতাল স্থাপন করা, চামড়া শিল্প এলাকায় শ্রমিকদের জন্য আবাসন সুবিধার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি কারখানাভিত্তিক কার্যকর সেফটি কমিটি গঠন করে সংশ্লিষ্ট সবার স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করা, পরিবেশ দূষণ প্রশ্নে শিল্প বন্ধের যে আলোচনা চলছে তা সরকার কর্তৃক পুনর্বিবেচনা করে শিল্প ও শ্রমিক রক্ষায় শ্রমিক-মালিক ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সাথে আলোচনাক্রমে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।

ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন বলেন, সরকারের নীতি সহায়তা পেলে চামড়া শিল্প হতে পারে দেশের সবচেয়ে বড় কর্মসংস্থানের খাত। এ জন্য সরকারকে শিল্পউদ্যোক্তাদের বর্তমান সমস্যা দূরীকরণে সহায়তা করতে হবে। শ্রমিকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হলে ও চামড়া শিল্পকে রক্ষা করতে হলে উদ্যোক্তাদেরকেই প্রথমে বাঁচাতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির পরিচালক ড. মিজানুর রহমান বলেন, উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরাই দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। তাদেরকে অবশ্যই শ্রমিক অধিকারসহ সব নিয়মকানুন মেনে ব্যবসা করতে হবে এবং শিল্পের বিকাশ নিশ্চিত করার জন্য সরকারের সাথে দরকষাকষি করার ক্ষেত্রে তৎপর হতে হবে। বিএলএফের মহাসচিব জেড এম কামরুল আনাম বলেন, চামড়া শিল্প ও শ্রমিক রক্ষায় যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে যে অ্যাকশন প্লান বা কর্মপরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে তা বাস্তবায়নে সরকার, মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।

এশিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোহাম্মদ সাদাত সদরুদ্দিন শিবলী বলেন, মালিক ও শ্রমিক পক্ষের মধ্যে ত্রৈমাসিক বা ষান্মাসিক ভিত্তিতে নিয়মিত বৈঠক আয়োজন করে সমস্যা মোকাবিলায় কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, মালিকদের উচিত অবশ্যই শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা। ফ্যাক্টরিতে সোশ্যাল কম্পলায়েন্স নিশ্চিত করতে চাইলে এর কোনো বিকল্প নেই।

সলিডারিটি সেন্টার-বাংলাদেশ অফিসের কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এ কে এম নাসিম বলেন, চামড়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত। বাংলাদেশের জন্য অতীব সম্ভাবনাময় পণ্য হচ্ছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার এই খাতকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে বিবেচনা করছে।

 

Link copied!