Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২০ মে, ২০২৪,

সারের দাম কেজিতে বাড়ল ৫ টাকা

মো. মাসুম বিল্লাহ

এপ্রিল ১২, ২০২৩, ১১:২৮ এএম


সারের দাম কেজিতে বাড়ল ৫ টাকা

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সারের দাম বাড়াতেই হলো —কৃষিমন্ত্রী

ডিলার ও কৃষক পর্যায়ে ইউরিয়া, টিএসপিসহ বিভিন্ন ধরনের সারের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারেও এ মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

গত সোমবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হোসেন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। আদেশ জারির তারিখ থেকে সারের মূল্যবৃদ্ধি কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে এ প্রজ্ঞাপনে। এতে বলা হয়, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য বাড়ার কারণে আমদানি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা এবং এর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সারের মূল্য পুনঃনির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

যদিও গত ৩ এপ্রিল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা’ শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছিলেন, অতীতের মতো আগামী বছরগুলোতে দেশে সারের দাম বাড়বে না। চলতি বছর সারের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেছিলেন, সারের দাম বাড়বে না। কৃষক যাতে পর্যাপ্ত সার পায়, সে লক্ষ্যেই আমরা চাহিদা নির্ধারণ করেছি। মার্চে ইউরিয়া সারের চাহিদা বেশি ছিল, তবুও আমরা একটু কমিয়ে চাহিদা নির্ধারণ করেছি।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইউরিয়া সারের চাহিদা ২৭ লাখ টন, টিএসপি সার সাড়ে সাত লাখ টন ও এমওপি সারের চাহিদা ধরা হয়েছে ৯ লাখ টন। এ ছাড়া আমাদের ডিএপি সার প্রয়োজন হয় পাঁচ থেকে ছয় লাখ টন। কিন্তু এ সারের দাম কমানোর জন্য ১৬ লাখ টন চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে। সারের মজুতের পরিমাণের বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেছিলেন, চার লাখ টন ইউরিয়া সার মজুত রয়েছে। এছাড়া টিএসপি সার রয়েছে দুই লাখ টন, ডিএপি সার আড়াই লাখ টন এবং এমওপি সার সোয়া দুই লাখ টন। গত বছরের তুলনায় সব সারের পরিমাণই কিছুটা কম রয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সারের দাম বাড়াতেই হলো —কৃষিমন্ত্রী : অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত সারের দাম বাড়াতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। বিশ্ববাজারে দাম কমলে দেশের বাজারেও সারের দাম কমানো হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান মন্ত্রী। এর আগে রাসায়নিক সারের দাম প্রতি কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়ানো হয়। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার সারের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দাম বাড়ানোর কারণে কৃষকের ওপর চাপ পড়বে, তবে উৎপাদন কমবে না।

আমরা চাইব বীজ বা অন্যভাবে কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে। তিনি বলেন, ‘আমি চাইনি কোনোভাবেই সারের দাম বাড়ুক। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে শক্ত অবস্থানে ছিল যে দাম বাড়াতেই হবে। প্রধানমন্ত্রীও বলেছিলেন সারের দাম না বাড়াতে, কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত বাড়াতেই হলো।’ ‘কিন্তু দাম যা বেড়েছে এটাও বৈশ্বিক সারের যে দাম বেড়েছে সে তুলনায় বাড়েনি। এখনো সরকারকে সারে বিপুল পরিমাণ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। তবে, বৈশ্বিক দাম কমলে সারের দাম সমন্বয় করা হবে।’ বোরো ধানের আগ পর্যন্ত চাহিদা বেশি থাকে এরপর সারের চাহিদাও কমে আসবে। তাই এ দামে খুব সমস্যা হবে না বলেও জানান আব্দুর রাজ্জাক।

Link copied!