ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা সোমবার, ০৪ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad
তিন কর্মকর্তা কারাগারে

৩৫০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’ নেপথ্যে আটাব!

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ৪, ২০২৫, ১২:১৯ এএম

৩৫০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’ নেপথ্যে আটাব!
  • কোম্পানির ঊর্ধ্বতনরা অর্থ আত্মসাৎ করে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন
  • ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো গ্রাহক
  • বিমানের টিকিট ব্যবসায় নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে আটাবের বর্তমান সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ ও মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ

দেশের অন্যতম অনলাইন টিকিট বুকিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ফ্লাইট এক্সপার্ট হঠাৎ করেই তাদের অফিসিয়াল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিমানের টিকিট বুকিংয়ের নামে প্রায় সাড়ে ৩শ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার মক্কা হজ এজেন্সি গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ রশিদ শাহ সম্রাট। যার সহযোগী হিসেবে জড়িত বিমান টিকিট বিক্রেতা এজেন্সি মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) বর্তমান সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ ও মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ। 

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট ও অ্যাপ সচল থাকলেও ফোন নম্বরেও মিলছে না কোনো সাড়া। সংশ্লিষ্ট কাউকেই খুঁজে পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছেন শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করা বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি এবং সাধারণ গ্রাহকরা। এতে করে আগাম ফ্লাইট ও হোটেল বুকিংয়ের জন্য টাকা পরিশোধ করা হাজারো গ্রাহক পড়েছেন ভোগান্তিতে।

অভিযোগ রয়েছে, মক্কা হজ এজেন্সি গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ রশিদ শাহ সম্রাটের সঙ্গে প্রতারণায় যুক্ত রয়েছে আটাবের বর্তমান সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ ও আসফিয়া জান্নাত সালেহ।

এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে গত সরকারের সময়ে ব্যবসায়ীদের নির্যাতন কয়েকশ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও লুটপাট এবং টিকিট সিন্ডিকেট, বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ এনে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

সম্প্রতি দেশে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতার মাধ্যমে নতুন সরকারকে ব্যর্থ করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছিল ফ্যাসিস্ট পরাজিত শক্তি। সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় এবার রাজধানী ঢাকা দখলের চেষ্টা করছেন পতিত আওয়ামী লীগ। এই পরিকল্পনাকে সামনে রেখে বেশকিছু নেতাকর্মী রীতিমতো গেরিলা প্রশিক্ষণও নিয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সংস্থার দেয়া তথ্য মতে, প্রশিক্ষণ নেয়া গেরিলা বাহিনীর প্রধান উদ্দেশ্য দেশের মধ্যে বড় ধরনের অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা এবং হাইকমান্ডের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর ঢাকা দখলে নেয়া। এ জন্য মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসাবে তালিকাভুক্ত হাজার হাজার নেতাকর্মী দেশে ও বিদেশে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে কোর গ্রুপের একটি বড় অংশ প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষ করেছে। সার্বিক পরিকল্পনার অর্থদাতা হিসেবে কাজ করেছে বিমান টিকিট বিক্রেতা এজেন্সি মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) বর্তমান কমিটি।

অভিযোগ উঠেছে, ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’-এর কর্ণধার এমএ রশিদ শাহ সম্রাট আটাবের বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং প্রতারণার টাকা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে অর্থ ব্যয়সহ সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটার সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’-এর কর্ণধার এমএ রশিদ শাহ সম্রাট।’ তাদের অফিস বন্ধ, ওয়েবসাইটও হারিয়ে গেছে। শত শত এজেন্সি-প্রতিষ্ঠান ও বিমানে টিকিট বুকিং করা গ্রাহকরা ফ্লাইট এক্সপার্টে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। 

জানা গেছে, ফ্লাইট এক্সপার্ট মালিক ও মক্কা হজ এজেন্সি গ্রুপের চেয়ারম্যান শুক্রবার রাতেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এ ব্যাপারে ফ্লাইট এক্সপার্টের সেলস ডিপার্টমেন্টের মামুনুর রশিদ জানান, গত শুক্রবার রাতেই ফ্লাইট এক্সপার্টের অন্যতম কর্ণধার রশিদ শাহ সম্রাটসহ প্রধান নির্বাহী (সিও) প্রতিষ্ঠানের অন্যসব কর্মকর্তা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। 

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিট মতিঝিল থানায় গত শনিবার জিডি (নং-৯৭) করেছেন ভুক্তভোগীরা। সূত্র জানায়, বিমান টিকিট বিক্রেতা এজেন্সি মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) বর্তমান সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ ও মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত, স্বৈরাচার হাসিনার সরকারের সময়ে আটাবের সভাপতি ও মহাসচিবের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী টিকিট সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। আওয়ামী লীগ নেতা বাহাউদ্দিন নাসিমের নাম ভাঙিয়ে তারা টিকিট মজুত করে কয়েক হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। 

মতিঝিল থানা জিডি সূত্রে জানা যায়, ফ্লাইট এক্সপার্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইম (৩২), পিতা- এম এ রশিদ শাহ সম্রাট (চেয়ারম্যান, মক্কা গ্রুপ), বর্তমান ঠিকানা হাউজ-৭, রোড-১৩৬, বি৪, গুলশান-১, ঢাকা এবং স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাম- মুরাদপুর, পোস্ট- রঘুনাথপুর, থানা- কচুয়া, জেলা- চাঁদপুর। মোবাইল নম্বর ০১৭৩০৭১০৪৩৪ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর- ১৯৬৫৩৭৩৭৯৬। এমডি সালমান বিন রশিদ শাহ সায়েম গত শনিবার প্রতিষ্ঠানের কাউকে কোনো কিছু না জানিয়ে সপরিবারে আত্মগোপনে চলে যান এবং পরবর্তীতে তিনি বিদেশে পলায়ন করেন। বিষয়টি পরে তিনি প্রতিষ্ঠানের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি ম্যাসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন সাপ্লায়ার ও কাস্টমারদের বিপুল অংকের আর্থিক লেনদেন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। 

তথ্যমতে, গত ২০২৩-২৪ সালে মালয়েশিয়াগামী যাত্রীদের (লেবার) টিকিটের গ্রুপ ব্লকিং এবং ২০২৫ সালে সৌদিগামী (লেবার) টিকিট ব্লকিংয়ের মাধ্যমে মূল্য বৃদ্ধি করে বিক্রি করেছেন। এখন আওয়ামীপন্থি আটাব সভাপতি নিজের অপকর্ম ঢাকতে এবং বর্তমান সরকারকে বিতর্কিত করার জন্য ট্রাভেল এজেন্সি এবং এয়ার লাইন্সের মধ্যে বিরোধ তৈরি করে এয়ার টিকিট ব্যবসায় নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে এদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। 

মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, গতকাল বিকেল থেকে অনেকেই বলছেন ফ্লাইট এক্সপার্টের এমডিসহ ঊর্ধ্বতনরা পালিয়ে গেছেন। বিষয়টি জানার জন্য তাদের অফিসে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে। ফ্লাইট এক্সপার্টের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরে তাদের এমডি অফিস করছেন না। ওয়েবসাইটিও পাওয়া যাচ্ছে না। পুরো বিষয়টি এখনো অস্পষ্ট রয়েছে। শনিবার বিকেলে ঢাকার মতিঝিলে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, অফিস বন্ধ, আশেপাশের কেউই জানে না অফিস হঠাৎ বন্ধ হওয়ার কারণ। গুঞ্জন আছে, প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ও সিনিয়র কর্মকর্তারা বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। যাদের বিরুদ্ধে কয়েকশ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। 

বিভিন্ন সূত্র ও ভুক্তভোগীদের বক্তব্যের ভিত্তিও সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনার শিকার হয়েছেন কয়েক হাজার গ্রাহক এবং মোট ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৩শ কোটি টাকার মতো। 

এদিকে, ফ্লাইট এক্সপার্টের প্রধান নির্বাহী সালমান তাদের অফিসের অভ্যন্তরীণ একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে লিখেছেন, সাঈদ, হোসাইন এবং সাকিব তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তারা খুব সতর্কতার সাথে পরিকল্পনা করে গত বৃহস্পতিবারের মিটিংয়ে এসব দোষ তার (সালমানের) ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন। এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ছিল এবং সালমানকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি। শনিবার সকালে কোম্পানির অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা সরিয়ে নিজেদের কাছে রেখেছেন। এর ফলস্বরূপ, কোম্পানিটি এখন বন্ধ হয়ে গেছে। সালমান আরও জানিয়েছেন যে, তার দিকে আসা হুমকি এবং দোষারোপের কারণে নিজেকে রক্ষা করার জন্য তিনি ছুটি নিয়েছেন। এই পরিস্থিতির জন্য তিনি দুঃখিত এবং যে এভাবে চলে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা তার ছিল না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফ্লাইট এক্সপার্ট ২০১৭ সালের মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। তখন একটি লঞ্চ ইভেন্টের মাধ্যমে তাদের প্ল্যাটফর্ম চালু করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি খুব দ্রুত বাংলাদেশের অনলাইন ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিতে একটি প্রভাবশালী নাম হয়ে ওঠে। তখন তারা দেশের ফ্লাইট টিকেটিং শিল্পে একটি বড় জায়গা দখল করে নেয়। প্রতিষ্ঠানটি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টিকিট বুকিং, হোটেল রিজার্ভেশন, ট্যুর প্যাকেজ এবং ভিসা প্রক্রিয়াকরণের মতো নানা ধরনের সেবা দিত। 

বিশেষ করে, সাশ্রয়ী মূল্যে ফ্লাইট টিকিট বুক করার সহজ সুবিধার কারণে এটি গ্রাহকদের কাছে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফার, ডিসকাউন্ট এবং সহজে পেমেন্টের ব্যবস্থা থাকায় এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। গতকাল ফ্লাইট এক্সপার্টের অফিসের ফেসবুকে গিয়ে দেখা গেছে, কোম্পানিটির সর্বশেষ পোস্ট হজ নিয়ে। সেই পোস্টে হজ ২০২৬ এর রেজিস্ট্রেশন শুরু জানিয়ে হজ প্যাকেজের মূল্য ছাড়া হয়েছে। এতে জয়িতা আফ্রিন নামে একজন প্রশ্ন করে লিখেছেন, ফ্লাইট এক্সপার্টের মত ট্রাস্টেড কোম্পানি যদি দেশ থেকে পালিয়ে যায় তাহলে আর কাকে বিশ্বাস করব?

সম্প্রতি সময়ে দেশে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতার মাধ্যমে নতুন সরকারকে ব্যর্থ করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছিল ফ্যাসিস্ট পরাজিত শক্তি। সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় এবার রাজধানী ঢাকা দখলের চেষ্টা করছেন পতিত আওয়ামী লীগ। এই পরিকল্পনাকে সামনে রেখে বেশকিছু নেতাকর্মী রীতিমতো গেরিলা প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। এসব কাজের প্রধান অর্থদাতা হিসেবে নেপথ্যের কারিগর হিসেবে কাজ করছে (আটাব) বর্তমান সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ ও মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশসহ কয়েকটি গেয়েন্দা সংস্থা।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ফ্লাইড এক্সপার্ট প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে কয়েকশ কোটি টাকা গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে গ্রহণ করেছে, যেগুলোর কোনো সেবা তারা দিচ্ছে না। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগ করছেন, তারা টিকিট বুক করলেও শেষ মুহূর্তে জানানো হয় বুকিং বাতিল হয়েছে, অথচ টাকা ফেরত দেয়া হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, টাকা আত্মসাৎ করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতারণার অভিযোগে একাধিক ব্যক্তি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।

ভুক্তভোগী মার্টিনেট গোল এজেন্সির মালিক এসএম কামাল উদ্দিন জানান, বিমান ফ্লাইটের টিকিট বুকিংয়ের প্রায় ১১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে বিমানের টিকিটের লোভনীয় অফারের মাধ্যমে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে প্রাতারণা ও হয়রানির হাজারও অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে ফ্লাইট এক্সপার্টেও কর্নধার ও মক্কা হজ এজেন্সি গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ রশিদ শাহ সম্রাট মোবাইল ফোনে বলেন, বোর্ড অফ ডাইরেক্টরসের নিজেদের মধ্যে কোন্দলের কারণে এই সাইটটি বন্ধ রেখেছে। ওই লিমিটেড কোম্পানির সাথে আমি কোনো প্রকার জড়িত না। প্রতিষ্ঠানের সার্ভার কবে চালু হবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা দেখতেছি যাতে কোনো ক্লাইন্ডের যাতে ক্ষতি না হয়।

ফ্লাইট এক্সপার্টের তিন কর্মকর্তা কারাগারে : গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় উড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ের প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

গতকাল রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- এজেন্সির হেড অব ফিন্যান্স সাকিব হোসেন (৩২), চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাঈদ আহমেদ (৪০) ও চিফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম সাদাত হোসেন (৩২)। এর আগে গত শনিবার তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

এদিন রাতে বিপুল সরকার নামক এক গ্রাহক মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন। এতে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি দুই আসামি হলেন- ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রাশিদ শাহ সাঈম ও তার বাবা এম এ রাশিদ। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় ফ্লাইট এক্সপার্ট। এতে টিকিট বিক্রেতা এজেন্সি ও হাজারো গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েন। তারা অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের জন্য অর্থ পরিশোধ করেছিলেন। ফ্লাইট এক্সপার্টের একাধিক কর্মকর্তার অভিযোগ, প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে মালিকপক্ষ দেশ ছেড়েছে। এতে গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের কোটি কোটি টাকা ফেরত পাওয়া অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। 

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী বাদী বিপুল সরকার আসামিদের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৭৯ হাজার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন। ২০১৭ সালের মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ফ্লাইট এক্সপার্ট। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইনসের টিকিট বুকিং, হোটেল রিজারভেশন (কক্ষ সংরক্ষণ), ট্যুর প্যাকেজ ও ভিসা প্রক্রিয়াকরণের মতো বিভিন্ন সেবা দিতো তারা। বিশেষ করে কম খরচে সহজে টিকিট বুকিংয়ের সুবিধার কারণে প্ল্যাটফর্মটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। 

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ফ্লাইট এক্সপার্ট নিজেরা সরাসরি উড়োজাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে টিকিট না নিয়ে দুটি মধ্যস্থতাকারী এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করতো। এখন ওই দুটি এজেন্সি নিজেদের কেনা টিকিটগুলো রিফান্ড (ফেরত) করে অর্থ তুলে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে।

Link copied!