ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad
ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ

শিক্ষার্থী শ্লীলতাহানির প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪, ০৬:১৩ পিএম

শিক্ষার্থী শ্লীলতাহানির প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ
  • উদ্ধার করা হয়েছে গোপন অডিও ও ভিডিও রেকর্ড  
  • ছাত্রীকে নামাজ ঘরে নিয়েও যৌন নির্যাতন করেছেন
  • তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুরাদ হোসেন থাকবেন কারাগারে

নারী ও শিশুর বিষয়ে পুলিশ অত্যন্ত সংবেদনশীল। ঘৃণ্য অপরাধ কেউ করলে আইনের আওতায় আনা হবে- ড.খ: মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, ডিএমপির 

রাজধানীর আজিমপুরে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের গণিত শিক্ষক মো. মুরাদ হোসেনের হাতে ছাত্রীদের বিভিন্ন সময়ে শ্লীলতাহানির প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। 

পুলিশ বলছে, স্কুলের পাশে কোচিং সেন্টারে ছাত্রীদের পড়ানোর নামে ভিন্ন সময়ে ছাত্রীদের শরীরের আপত্তিকর স্থানে হাত  দেওয়াসহ নানাভাবে যৌন হয়রানি করেছেন। যার প্রমাণ পাওয়া গেছে শিক্ষক মুরাদের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপে। এক ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবকের দায়ের করা মামলায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর কলাবাগান থেকে শিক্ষক মুরাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ ভুক্তভোগীদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া দাবি করেছে পুলিশ।

এদিকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) ড.খ: মহিদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, ডিএমপির লালবাগ থানায় এক ছাত্রীর  অভিভাবক বাদী হয়ে গণিত শিক্ষক মুরাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, তার মেয়ে  ভিকারুননিসা নূন স্কুলের আজিমপুর শাখার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। ২০২৩ সালে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে মুরাদের কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়। কোচিং চলাকালীন প্রায় সময় ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার সহপাঠীদের সঙ্গে আপত্তিকর কৌতুক শোনাতেন শিক্ষক মুরাদ। ওই ছাত্রী স্কুলে নাচ করতো, সেই নাচের ভিডিও শিক্ষক মুরাদ ঘুমানোর আগে দেখত। ২০১৩ সালের ১০ মার্চ বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রী তার সহপাঠীদের কোচিং করানোর পরে সবাই গেলেও কৌশলে তাকে ডেকে বসিয়ে রাখে। পরবর্তীতে পানি আনার কথা বলে এবং হঠাৎ করে পিছন থেকে জড়িয়ে নানাভাবে যৌন হয়রানি করেন। 

পরবর্তীতে এই বিষয় কারো কাছে না বলার অনুরোধ করে শিক্ষক মুরাদ। ছাত্রীকে বলেন, ‘আমি তোমাকে বাবার মতো জড়িয়ে ধরে চুম্বন করেছি এটা কাউকে বলবে না।’ পরবর্তীতে একই ভাবে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক মুরাদ কোচিং সেন্টারে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করত। এমন কি শিক্ষক মুরাদ ওই ছাত্রীকে নামাজ ঘরে নিয়েও যৌন নির্যাতন করেছেন বলে দাবি মামলার বাদী ছাত্রীর অভিভাবকের। যৌন নির্যাতন শেষে ছেড়ে দেওয়ার সময়ে শিক্ষক মুরাদ ছাত্রীকে বলত,‘ আমি তোমার বাবার মতো তাই এরকম করেছি। এই ঘটনা ভুলে যাও, এই ঘটনা জানাজানি হলে তোমার মা-বাবার সম্মানহানি হবে এবং স্কুল থেকে তোমাকে বের করে দিবে।’

মুরাদের এমন হুমকির কারণে ভুক্তভোগী ছাত্রী বিষয়টি গোপন রাখে। তবে সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন অশালীন আচরণের বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তারা উদ্যোগী হয়ে বেশ কয়েকজন অভিভাবককে স্কুলে ডাকেন। পরবর্তীতে অভিভাবকদের উপস্থিতিতে শিক্ষক মুরাদের হাতে ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে তারা বিষয়টি স্বীকার করেন। এই বিষয়টি প্রকাশিত হলে মুরাদের হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার অনেক ছাত্রী মুখ খুলতে শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আজিমপুরে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মিলে শিক্ষক মুরাদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন।

অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, মামলা দায়ের হওয়ার পরে ২৭ তারিখ রাতে অভিযুক্ত শিক্ষক মুরাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে ঘটনার বিষয়ে শিক্ষক মুরাদকে জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে। এছাড়াও ভুক্তভোগী ছাত্রী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। শিক্ষক মুরাদের মোবাইল ও ল্যাপটপ থেকে বেশ কিছু ভিডিও ও অডিও রেকর্ড উদ্ধার করা হয়েছে। 

এ ঘটনার পর অভিভাবক অনেকেই চিন্তিত। তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে অনেকেই ভয় পাচ্ছেন। এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে কোনো মেসেজ আছে কি-না জাতে চাইলে তিনি বলেন,  নারী ও শিশুর বিষয়ে পুলিশ অত্যন্ত সংবেদনশীল। এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ যদি কেউ করে থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। যেসব শিক্ষার্থী স্কুল-কোচিংয়ে যাচ্ছে তারা স্বাভাবিকভাবে যাবে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এক্ষেত্রে বদ্ধ পরিকর।
একই প্রতিষ্ঠানে এমন অভিযোগে তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে। সেই তদন্তে তাদের দায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। 

এই দায় মুক্তি পুলিশের তদন্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার মহিদ উদ্দিন বলেন, এটি একটি অ্যাকাডেমিক বিষয়। তদন্তের বিষয়গুলো প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং কমিটি রয়েছে। তাদের দায়িত্বশীল যে জায়গাগুলো আছে সেগুলো তারা দেখবেন। তবে ফৌজদারি বিষয়গুলো আমাদের অংশ। এই বিষয়গুলো আমরা দেখছি।

আরএস

Link copied!