Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার

সৈয়দপুরে রেল কল্যান ট্রাস্টের নাম ভাঙিয়ে কোটি টাকা লুটপাট

আল-আমিন, নীলফামারী

আল-আমিন, নীলফামারী

মে ১৬, ২০২২, ০৪:৩৩ পিএম


সৈয়দপুরে রেল কল্যান ট্রাস্টের নাম ভাঙিয়ে কোটি টাকা লুটপাট

নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেল কারখানার সামনে রেল কর্তৃক কর্মচারী কর্মকর্তাদের বাজার করার সুবিধার্থে রেলপথ মন্ত্রণালয় ভূমি শাখার পত্র নং-৫৪.০০.০০০০.০০৯.০৪.০০৩.১৪-৩১১ তারিখ ১৮/১১/২০২০ এর স্মারকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে অস্থায়ী লাইসেন্সের তালিকায় সৈয়দপুর রেল ভূমি ১৮২২৮=০.৪২ একর জমি ও সৈয়দপুর সাউথ কেবিন সংলগ্ন এলাকায় ১৮০০ বর্গফুট=০.০৪ একর ভূমি কল্যান ট্রাস্টের অনুকুলে বরাদ্দ রয়েছে। 

কিন্তু বাস্তবে অবৈধ দখলকারীরা গেট বাজার এলাকায় বরাদ্দকৃত জমির ১৮ হাজার ২২৮ বর্গফুটের জায়গায় ৩১ হাজার ৪৭২ বর্গফুট জায়গা অতিরিক্তি জমি তৎকালীন ভূমিদস্যু কর্তৃক দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছে। অতিরিক্ত ০.৩২২৫ একর জমি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট ও দুর্নীতিবাজ রেল কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজোসে দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ফলে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

রেল কল্যান ট্রাস্টের নাম ভাঙিয়ে উক্ত রেল বাজারের পাশে মুক্তিযোদ্ধা রোড লন্ডাবাজার মার্কেট নামে আরেকটি মার্কেট বিদ্যমান। উক্ত মার্কেটটি স্থানীয় কুখ্যাত ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট রেলের বাংলোর দেয়াল ভেঙে দুইশত দোকান নির্মণে করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। 

পাশাপাশি উক্ত মার্কেট থেকে প্রতিটি দোকান হতে প্রতিদিন ২০ টাকা হারে টোল আদায় করা হয়। পাশাপাশি রেললাইনের পূর্ব পাশে রেলবাজারের উল্টো দিকে আরেকটি অবৈধ মার্কেট রয়েছে। এঙ্গেল টিন দিয়ে তৈরী সেই মার্কেটও তৈরী করেছে ভূমিদস্যুরা। তারা দোকান বরাদ্দ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। সেখানে রয়েছে প্রায় ১৫০ দোকান। সেইসব দোকান থেকেও প্রতিদিন টোল আদায় করা হয়। এই মার্কেটটি রেললাইনের ১০ ফিটের মধ্যে কিভাবে কারা তৈরী করলো সেটিও প্রশ্নবিদ্ধ।

এ ব্যাপারে রেলের কানুনগো বলেন,  রেললাইনের ১০ ফিট জমি আইডাব্লু ও পিডাব্লু এর তত্ত্বাবধানে, সেটি দেখার দায়িত্ব আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জিআরপির।

জানতে চাইলে কানুনগো জিয়াউল হক বলেন, কল্যান ট্রাস্ট তার বরাদ্দের চাইতে অতিরিক্ত জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছে। অতিরিক্ত জমির দখলকালীন সময় থেকে খাজনা আদায়ের জন্য আমরা পত্র দিয়েছি। লন্ডাবাজার মার্কেটের দোকান বরাদ্দ মার্কেট তৈরী সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তারা অবৈধভাবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মার্কেট তৈরী করেছেন। 

Link copied!