ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২, ০৬:২৯ পিএম

চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩

ফরিদপুরের সালথা এক ঠিকাদারের কাছে থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন, সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমামুল খান (২৫), উপজেলা ছাত্রলীগের আরেক সহ-সভাপতি আবু মুসা ওরফে প্রিন্স মুসা (২২) ও জসীম মোল্যা (২০) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী। গ্রেপ্তারকৃত সবার বাড়িই উপজেলার মাঠ সালথা এলাকায়।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকদের ফরিদপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিকাল ৩ টার দিকে সালথা থানার অফিসার (ওসি) মো. শেখ সাদিক গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের তাসা কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি উপজেলা সদরের মাঠ সালথার কলেজ রোড এলাকায় দুই কিলোমিটার রাস্তার কার্পেটিং কাজ করছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উক্ত কাজের মালামালের ট্রলি ঠেকিয়ে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন ৮/১০ জন যুবক। এসময় ট্রলির ড্রাইভারকে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারপিট করে ও রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়।

পরে ঠিকাদার থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় অন্যরা পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে তাসা কনস্ট্রাকশনের সত্ত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই এলাকার কয়েকজন যুবক কক্সবাজারে যাবার খরচ চেয়ে রাস্তার মালামালের ট্রলি গাড়ি আটকিয়ে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এর আগে তাদের ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে দাবি এ ঠিকাদারের। পরে চাঁদাদাবীর বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে গ্রেপ্তারকৃত উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু মুসার ভাই ইলিয়াস মোল্যা বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি রাস্তায় নিম্নমানের কাজ করছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমার ভাইসহ স্থানীয় কয়েকজন এর প্রতিবাদ করেন। তাদের কাছে চাঁদাদাবীর বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

এ ব্যাপারে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন রায় বলেন, ছাত্রলীগ ভালো কাজ করলে সুনাম হয় ; আবার খারাপ কাজের সাথে জড়িত হলে দুর্নাম পুরো সংগঠনের উপর পড়ে। আমি বিষয়টি শুনেছি। সেখানকার একটি পক্ষ বলছে রাস্তার নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে কাজের বাঁধা দেওয়া হয়েছে। আবার আরেকটি পক্ষ বলছে ট্রলি থামিয়ে তারা চাঁদা দাবি করেছে। তাই আমরা সত্য মিথ্যা যাচাই করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরে সাংগঠনিকভাবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। যার কারণে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে সালথা থানার অফিসার (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, চাঁদাবাজীর অভিযোগ এনে থানাতে একটি এজাহার দায়েরের পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী কি-না তা আমার জানা নেই। গ্রেপ্তারকৃতদের দুপুরে ফরিদপুরের কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

কেএস 

Link copied!