Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪,

মঠবাড়িয়ায় ব্যবসায়ির লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

অক্টোবর ৩০, ২০২২, ০২:০৬ পিএম


মঠবাড়িয়ায় ব্যবসায়ির লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ রোববার (৩০ অক্টোবর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মতিয়ার রাহমান (৫৪) নামে এক ব্যবসায়ির লাশ উদ্ধার করেছেন। নিহত মতিয়ার রহমান পার্শ্ববর্তী পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের বেতমোর গ্রামের মৃত. কেরামাত আলী জামাদারের ছেলে ও স্থানীয় বাজারের কসমেটিক্স ব্যবসায়ি।

নিহতের স্ত্রী রহিমা খাতুন জানান, প্রতিবেশী মৃত. সতীশ খড়াতির ছেলে পংকজের সাথে তার স্বামীর দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও মামলা চলে আসছিলে। পংকজ মামলায় হেরে যাবার আশংঙ্কায় সম্প্রতি তার মেয়েকে দিয়ে আমার দেবর জাকিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে একটি মামলা করে। পুলিশ জাকিরকে গ্রপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়। আমার স্বামী মতিয়ার রাহমান শনিবার সকালে বরগুনায় গিয়ে আইনজীবীদের সাথে জাকিরের জামিন সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেন এবং রোববার আদালতে জামিনের আবেদন করবেন। শনিবার রাতে বাড়িতে এসে আমার সাথে এসকল ঘটনা আলোচনা করেন।

এসময় পংকজ খড়াতি, পালাশ, প্রশান্ত, সঞ্জিতা রানী, মিলন, সমাপ্তি, পপি, নূর ইসলাম সরদার, শাহজাহান চৌধুরী, সঞ্জয়সহ অজ্ঞাত ২-৩ জন আমাদের ঘরে উঠে আমাকে ওড়না দিয়ে হাত ও মুখ বেঁধে রেখে আমার স্বামীকে টেনে-হিচড়ে ঘরের বাহিরে নিয়ে যায়। এক পর্যায় আমি ডাক-চিৎকার করলে এলাকার লোকজন ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করে ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ আসে। পরে বাড়ির উঠান থেকে আমার স্বামীকে অচেতন অবস্থায় এম্বুলেন্সে করে মঠবাড়িয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। পরে আমি আমার স্বামীর অন্ডকোষ ভাংঙ্গা ও গলায় দাগ এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত দেখতে পাই। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও নিহতের স্ত্রী রহিমা খাতুন জানান।

মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফেরদৌস জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত হয়েছে।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, সুরতহাল রিপোর্টের পর লাশ উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।

কেএস

Link copied!