ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

সুবর্ণচরে মাকে ৫ টুকরো: ছেলেসহ ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালী প্রতিনিধি

জানুয়ারি ২৪, ২০২৩, ০২:২৮ পিএম

সুবর্ণচরে মাকে ৫ টুকরো:  ছেলেসহ ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

মাকে পাঁচ টুকরো করে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নে ছেলেসহ ৭ আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। নিহত ওই নারীর নাম নুরজাহান বেগম (৫৭)।

ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলো, নিহতের ছেলে হুমায়ুন কবির হুমু (৩২), নিরব (২৬), নুর ইসলাম (৩২), কালাম (৩০), সুমন (৩৩), হামিদ (২৮) ও ইসমাইল (৩০)।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিলুফার সুলতানা এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল। তিনি বলেন, ‘এ হত্যার ঘটনায় প্রথমে নিহতের ছেলে হুমায়ুন কবির হুমু (৩২) বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার সূত্র ধরে পুলিশ তদন্তে নামলে হত্যার সঙ্গে সরাসরি সন্তানের জড়িত থাকার বিষয়টি ওঠে আসে। একইসঙ্গে তার সাত সহযোগী মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রমাণ পায় পুলিশ।’

তিনি জানান, রায় ঘোষণার সময় আদালতে ৭ আসামি উপস্থিত ছিলেন। এই মামলায় ২৭ জনের স্বাক্ষী গ্রহণ করা হয়। আসামিদের মধ্যে  ৫ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল আরও বলেন, এটি একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড। যে মা সন্তানকে জন্ম দিলেন, সেই সন্তান কীভাবে মাকে হত্যা করে! এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট। আশা করি, উচ্চ আদালতেও এই রায় বহাল থাকবে।

২০২০ সালের ৭ অক্টোবর বিকেলে সুবর্ণচরের চরজব্বর ইউনিয়নের জাহাজমারা গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে গৃহবধূ নুর জাহানের (৫৮) মাথাসহ দুই টুকরা উদ্ধার করা হয়। পরদিন একই ক্ষেত থেকে লাশটির আরও তিন টুকরা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় প্রথমে নিহত নারীর ছেলে হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্তের একপর্যায়ে সন্দেহভাজন হিসেবে মো. নীরব ও কসাই নুর ইসলাম নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যা মামলার বাদী নিজেই জড়িত বলে তথ্য বেরিয়ে আসে। এরপর পুলিশ হুমায়ুনকে প্রধান আসামি করে অন্য একটি মামলা করে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার হুমায়ুন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন।

আরএস

Link copied!