Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪,

মাগুরা গার্লস স্কুলের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী হত্যা চেষ্টায় মানববন্ধন

মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরা প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩, ০৭:৪০ পিএম


মাগুরা গার্লস স্কুলের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী হত্যা চেষ্টায় মানববন্ধন

মাগুরা গার্লস স্কুলের ৯ম শ্রেনীর স্কুলছাত্রী মাইশা‍‍` হত্যা চেষ্টা ঘটনা মাস পার হলেও আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবারটির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং  আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর)  মাগুরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী মাইশার সহপাঠী ও সচেতন মাগুরাবাসী।

ভুক্তভোগী ঐ ছাএীর মা রেহানা পারভীন দৈনিক আমার সংবাদকে জানান,মাগুরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্রী রুবাইয়া ইয়াসমিন মাইশাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন, ইব্রাহিম। তার প্রস্তাবে আমার মেয়ে রাজি না হওয়ায় গত ২৮ জুলাই শুক্রবার, একটি পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় গুরুতর আঘাত করে। আহত মাইশার মা আরো বলেন, আমার বড় মেয়ে‍‍`জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বিউটিশিয়ান ঐশী । আর ঐশীর সহপাঠীরা মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ারদী কলেজের অনার্সের কতিপয় ছাত্র এ ঘটনায় জড়িত বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীর মা।

জানা গেছে, ঘটনার দিন রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পর আহত মাইশা‍‍`কে মাগুরা দোয়ার পাড় এলাকা থেকে পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। তবে কর্মরত মাগুরা সদর হাসপাতালের ডাক্তার আহত মাইশার অবস্থা আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি হওয়ায় রেফার্ড করেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।এরপর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আহত মাইশাকে রেফার্ড করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আর সেই থেকে আজ অব্দি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন আহত মাইশা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ১৫ দিন অজ্ঞান থাকার পর মাইশা জ্ঞান ফিরে প্রকাশ করে ওই ঘটনা।

ঘটনার পর বিষয়টিকে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দিতে চেষ্টা চালায় ইব্রাহিম ও তার সঙ্গীরা। পরে মাইশার কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানায় মামলা করতে যান তার মা রেহানা পারভীন। কিন্তু সেখানে মামলা না নেয়ায় মাগুরা জেলা জজ কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা রেহানা বেগম ।

ঘটনার পর থেকে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে মাইশার পরিবারকে চাপ দিয়ে আসছে প্রভাবশালী আসামিদের পরিবার ও স্বজনরা।

তবে এ ঘটনায় মাগুরা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ বিষয়টির দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি ভুক্তভোগী পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আরএস

Link copied!