Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০১ মে, ২০২৪,

বাঞ্ছারামপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে ছুরিকাঘাত, গ্রেপ্তার ৪

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩, ০৬:৫২ পিএম


বাঞ্ছারামপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে ছুরিকাঘাত, গ্রেপ্তার ৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর সদরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে প্রতিপক্ষের হামলায় এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাঞ্ছারামপুর বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে ৮ থেকে ১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল জালাল মিয়া (২৬) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাত করলে এতে যুবকের নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে যায়। তার চিৎকারে সেখান থেকে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করে।

এ ঘটনায়য় জালাল মিয়ার পিতা হারুন মিয়া বাদী হয়ে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) অভিযুক্ত ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে ৬জন হামলাকারীর কথা উল্লেখ্য করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন।

মামলার আসামিদের মধ্যে বটতলী কান্দাপাড়ার মুসা মিয়ার ছেলে মেহেদী মিয়া (১৯), আশোক মিয়ার ছেলে ইআছিন মিয়া (১৯) মৃত হাসান মিয়ার ছেলে মো. মুসা মিয়া (৪০), মৃত কালা মিয়ার ছেলে ইদন মিয়াকে (৫৫) গেপ্তার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্বশত্রুতার জেরে দেশীয় আস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ৮ থেকে ১০ জনের একটি দল অতর্কিতভাবে ভিকটিম বাড়ি ফেরার পথে তাকে বাধা প্রদান করে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এক পর্যায়ে ভিকটিম জালাল তাদের বাধা দিলে প্রতিপক্ষরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে এলাকার লোকজন ও তার পরিবারের লোকজন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল প্রেরণ করে।

মামলার বাদী হারুন মিয়া বলেন, গতকাল রাতে আমার ছেলেকে মেহেদীসহ বেশ কয়েকজন মিলে বাড়ি ফেরার পথে এলোপাথাড়ি ছুরি দিয়া গাইয়াইয়া নাড়িভুঁড়ি বের করে ফেলছে। আমার ছেলে এখন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছে। এ ঘটনার সঙ্গে  জড়িতদের আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহিউদ্দিন পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তদন্তের স্বার্থে বক্তব্যে না দিলেও চারজনকে আটক করার কথা স্বীকার করেছেন।

এআরএস

Link copied!