Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪,

ভোলায় কম্বল নিয়ে শীতার্তদের পাশে দাড়াঁলেন ডিসি

জেলা প্রতিনিধি

জেলা প্রতিনিধি

জানুয়ারি ১৪, ২০২৪, ০৪:০১ পিএম


ভোলায় কম্বল নিয়ে শীতার্তদের পাশে দাড়াঁলেন ডিসি
ছবি: আমার সংবাদ

উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলাতে বেশ কয়েকদিন ধরে জেঁকে বসেছে শীত। সেই শীতের হাত থেকে ভোলার নিম্ন আয়ের মানুষদের কিছুটা রক্ষা করতে রাতের আঁধারে বেড়িবাঁধ ঘুরে ঘুরে শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল বিতরণ করেছেন ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে ভোলার ধনিয়ার কোরারকাট বেড়িবাঁধ, শিবপুর শান্তিরহাটসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে নিজে শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল তুলে দেন। এসময় তিনি বেড়িবাঁধে থাকা নিম্ন আয়ের মানুষের খোঁজ খবর নেন। রাতের আঁধারে ঘরের দুয়ারে জেলা প্রশাসককে কম্বল নিয়ে হাজির হতে দেখে আবেগে আপ্লুত হন অনেক বেড়িবাঁধ এলাকার অসহায় শীতার্তরা। তীব্র শীতের মধ্যে শীতবস্ত্র পেয়ে খুশিতে আত্মহারা বেড়িবাঁধ এলাকার অসহায় মানুষগুলো।

কম্বল পাওয়া ধনিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কোররাহাট এলাকার রিকসাচালক আবুল বাশার বলেন, আমি রিকশা চালক। রাত হলে ছেলে মেয়ে নিয়ে শীতে খুব কষ্ট করি। রোজগার করে যে টাকা পাই তাদিয়ে একটা ভালো কম্বল কিনার সামর্থ নেই। অনেকের কাছে একটা কম্বল চাইচিলাম কেউ দেয়নি। আজ ডিসি স্যার আমার বাড়িতে এসে নিজে শীতবস্ত্র দিয়েছেন। এটা আমার জীবনের সব থেকে বড় পাওয়া। মনে হয় আল্লাহ আমার চাওয়া কবুল করছে। এখন রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারব।

৬০ বছরে বৃদ্ধা সালেহা বেগম বলেন, শীতে রাতে ঘুমাতে অনেক কষ্ট হতো। অনেক সময় শীতের কারণে ঘুম ভেঙে যেত কিন্তু আজকে স্যার আমাকে একটা শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল দিয়েছেন। আজ আমি শান্তিতে ঘুমাতে পারব।

শীতে কম্বল পাওয়া মরিয়ম বলেন, আমার স্বামী একজন জেলে। নদীতে তেমন কোন মাছ না থাকায় আয় রোজগার তেমন হয়না। পোলাপাইনরে দুইটা শীতের পোশাকও কিনে দিতে পারতেছেনা। এই শীতের মধ্যে রাতে অনেক কষ্টে ছেলে-মেয়ে নিয়া ঘুমাই। জেলা প্রশাসন থেকে আমাকে একটা কম্বল দিয়েছে। এখন ভালো করে ঘুমাতে পারব।

ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, গত কয়েকদিন ধরে খুব কনকনে শীত পড়েছে। এই জেলায় ছিন্নমূল মানুষের পাশাপাশি বেড়িবাঁধ এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ বসবাস করে থাকেন। শীত বেড়ে যাওয়ায় এসব মানুষ শীতে অনেক কষ্ট পাচ্ছে। তাই তাদের কষ্ট কিছুটা লাগব করার জন্য এই শীত বস্ত্র নিয়ে নিজে ছুটে এসেছি তাদের কষ্ট লাগব করার জন্য। আমরা এবছর দুযোর্গ ব্যবস্থপনা মন্ত্রণালয় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভান্ডার থেকে ৪৩ হাজার ৫শ’ কম্বল পেয়েছি। যেগুলো আমরা উপজেলা ও ইউনিয়ন ভিত্তিক বিতরণ করেছি। ইতিমধ্যে স্ব-স্ব উপজেলা দুস্থ ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে। এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এসময় জেলা প্রশাসকের সাথে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রিপন কুমার সাহা, ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সজল চন্দ্র শীল, ভোলা সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (নেজারত শাখা) মো. আবু সাঈদ, সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ জিয়াউল হকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধি প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা এসময় তার সঙ্গে ছিলেন।

এআরএস

Link copied!