পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪, ০৯:১২ পিএম
পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪, ০৯:১২ পিএম
খাগড়াছড়ি পৌরসভার স্বপ্ন মোহন কারবারী এলাকার তিন রাস্তার মোড়ে অটোচালক সুজন্ত ত্রিপুরা ও সুজন (২৪) হত্যার ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে জেলা পুলিশের আয়োজনে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান, খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমের স্ত্রী সুজিতা ত্রিপুরা (২২) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন। পরে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর সার্বিক দিকনির্দেশনা ও তত্তাবধানে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উম্মোচন ও ঘাতকদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসারদের সমন্বয়ে একটি চৌকস টিম ঘাতক আসামী রাপ্রু মারমা (৩২)কে গ্রেপ্তার করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সময় পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাহমুদা বেগম, খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), মো. জসীম উদ্দিন পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. তফিকুল আলম,সহ জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আসামী রাপ্রু মারমাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম সুজন্ত ত্রিপুরা ও সুজন (২৪) তার স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে ধৃত আসামীর স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, পিপিএম (বার) বলেন,ভিকটিম সুজন্ত ত্রিপুরা ও রাপ্রু মারমা দুজনই মাদকসেবী এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।
হত্যাকাণ্ডের বেশ কিছুদিন পূর্বে তাদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরেই রাপ্রু মারমা সুজন্ত ত্রিপুরাকে হত্যা করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে সদর থানায় চাঁদাবাজি মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরএস