Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

ভোলায় ২১ বছর পর ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

ভোলা প্রতিনিধি

ভোলা প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪, ০৭:২১ পিএম


ভোলায় ২১ বছর পর ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

দীর্ঘ প্রায় ২১ বছর পর ভোলার লালমোহন উপজেলার ৭নং পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

গত ২৩ জানুয়ারি এ ইউনিয়ন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এতে দেখা যায়, মনোনয়ন দাখিলের শেষ  সময়  ১৩ ফেব্রুয়ারি।  রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি।

আপিল দায়ের ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১৯-২০ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ ফেব্রুয়ারি। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে মার্চ মাসের ৯ তারিখ।

বর্তমানে চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন, ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৭০ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থী পদে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

দীর্ঘ প্রায় ২১ বছর পর পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের নির্বাচন করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট এপিলেট ডিভিশন সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু  আপিলের আলোকে গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন করার জন্য আদেশ প্রদান করেন।

এদিকে নির্বাচন না হওয়ার জন্য এ আদেশের বিরুদ্ধে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ওই ইউনিয়নের গজারিয়া বাজার এলাকার মো. অলিউল্লাহ মাতাব্বর ছেলে মো. শাহিন  হাইকোর্টে ডিভিশনে পিটিশন দাখিল করেন। হাইকোর্ট  ডিভিশন তা খারিজ করে দেন বলে জানিয়েছে সূত্র।

কেন নির্বাচন বন্ধ করতে পিটিশন দাখিল করেছেন এ প্রশ্নের জবাবে মো. শাহিন আকতার বলেন, ২০১৯ সালে পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নকে দুইভাগে বিভক্ত করা হয়েছে এবং ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে, সে অনুযায়ী নির্বাচন দাবি করে হাইকোর্ট ডিভিশনে পিটিশন দাখিল করেছি আমি।

এরপর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ওই ইউনিয়নের একেএম শহিদুল্যাহ নামের আরেক ব্যক্তি  হাইকোর্ট ডিভিশনে নির্বাচন বন্ধের জন্য পিটিশন দাখিল করেন। যা এখনো  চলমান। একদিকে নির্বাচন বন্ধের জন্য পিটিশন দাখিল করেছেন একেএম এবং শহিদুল্যাহ।

অন্যদিকে তিনি নিজেই নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

নির্বাচন বন্ধের পিটিশন দাখিলের ব্যাপারে তার সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ প্রায় ২১ বছর পর নির্বাচনের তফসিল ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে শোনার পর থেকেই ওই ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তেমন উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়নি। এক ধরনের  মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে ভোটারদের মনে। অনেকে গুজব ছড়াচ্ছেন,বলছেন নির্বাচন হবে না। আসলেই কি নির্বাচন হবে? না আবার বন্ধ হয়ে যাবে, এধরনের প্রশ্ন ভোটার মনে। তবে সাধারণ ভোটারেরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে। তারা ভোট দিয়ে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে চাচ্ছে।

এ ব্যাপারে ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ভোটার মো. রাসেল মো. জুলহাসসহ স্থানীয়রা বলেন, গেজেট অনুযায়ী আমরা দুই ইউনিয়নের ভোট চাই।

এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউসুফ হারুন বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে যখন যে সিদ্ধান্ত আসে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

ইএইচ

Link copied!