বরিশাল ব্যুরো
মার্চ ২৮, ২০২৪, ০১:৪৩ পিএম
বরিশাল নগরীর ২৪নং ওয়ার্ড দক্ষিণ রুপাতলী ‘মান্নান খান সড়ক’র মাঝামাঝি স্থানে অবৈধভাবে রাস্তার মাঝে পিলার পুঁতে তার কাঁটার বেড়া দিয়ে বিনা প্লানে নির্মিত গেটের অপসারণ চেয়ে জনগণের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ওই এলাকার আবদুল আল নাঈম রয়েল`র অবৈধভাবে নির্মিত গেট উচ্ছেদের দাবিতে প্রায় দু’শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা গণস্বাক্ষর দিয়েছেন।
জনগণের পক্ষ হয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই এলাকার মো. হাবিব খানের পুত্র মো. শামীম খান। তিনি বলেন, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় দু’হাজার মানুষসহ স্থানীয় ৫ শতাধিক ভোটার চলাচল করে। মান্নান খান জীবিত থাকা অবস্থায় তিনিও চেয়েছিলেন তার নামে সড়কটি থাকুক। শত বছরের পুরাতন ম্যাপে রয়েছে এ সড়কটি। দেশে ভোটার তালিকা শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন’র ভোটের তালিকায়ও ‘মান্নান খান সড়ক’ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২০০৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মান্নান খান মারা যাবার পরই তার ছেলে আবদুল আল নাঈম রয়েল ওরফে রয়েল বেপরোয়া হয়ে উঠে। হঠাৎ চলমান বছরের শুরুতে রাতের আঁধারে তার পিতার নামের ওই ‘মান্নান খান সড়ক’র মাঝামাঝি স্থানে অবৈধভাবে রাস্তার মাঝে পিলার পুঁতে তার কাঁটার বেড়া দিয়ে একটি লোহার গেট নির্মাণ করেন রয়েল। যে কারণে, পথচারীরাসহ এলাকার ৫ শতাধিক ভোটার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পথ চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে যে কেউ পরিদর্শন করলে উপরোক্ত তথ্য প্রমাণের মিল পাবে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে এলাকার বাসিন্দারা গণস্বাক্ষর দিয়ে গেটটি অপসারণের জন্য বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) বরাবর লিখিত আবেদন করেছিল।
স্থানীয় জনগণের দাবি, বিনা প্লানে নির্মিত গেট অপসারণ করে শত বছরের পুরাতন সড়কটি থাকুক। মান্নান খান সড়ক নামেই থাকুক। কিন্তু সড়কটি বন্ধ হলে হাজার হাজার মানুষের সমস্যা হবে। জনগণের পথ চলাচলের স্বার্থে সড়কটি প্রয়োজন।
এলাকাবাসীর পক্ষে উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শেখ মো. সালাম, সোহরাবসহ অর্ধশতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা।
আবদুল আল নাঈম রয়েল বলেন, তার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। তার পিতার নামেই সড়ক করা হয়েছে। এবং জমিও তাদের। আর তার পিতার নাম স্মরণে নাম ফলকের জন্য গেট নির্মাণ করা হয়েছে। জনগণের পথ চলাচলে কোন অসুবিধা হয় না।
এআরএস
