বরিশালে পোস্ট বেসিক নার্সিং শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

বরিশাল নার্সিং কলেজে পোস্ট বেসিক বিএসসি নার্সিং শিক্ষার্থীদের ওপর বেসিক বিএসসি নার্সিং শিক্ষার্থীদের হামলার অভিযোগ তুলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

বুধবার সকালে পোস্ট বেসিক বিএসসি নার্সিং ও পাবলিক হেলথ নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বরিশাল নার্সিং কলেজ প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে হাসান জোমাদ্দার, শারমিন ইশরাত, তৃপ্তি রানী ঘরামি প্রমুখ শিক্ষার্থী বক্তব্য দেন। তারা বলেন, "আমরা চাকরির পাশাপাশি পোস্ট বেসিক বিএসসি নার্সিং কোর্সে অধ্যয়ন করছি। মঙ্গলবার সকালে ক্লাসে যাওয়ার সময় দেখি, বেসিক বিএসসি শিক্ষার্থীরা কলেজের গেট আটকে রেখেছে। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে ক্লাসে ঢুকতে চাইলেও তারা বাধা দেয় এবং আমাদের ওপর শারীরিকভাবে হামলা চালায়। পরবর্তীতে তারা উল্টো আমাদেরই অভিযুক্ত করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে।"

তারা আরও বলেন, "বেসিক বিএসসি নার্সিং কোর্সে প্রায় ৪০০ জন শিক্ষার্থী থাকলেও, পোস্ট বেসিক বিএসসি কোর্সে আমরা মাত্র ৬০ জন। অতএব, আমাদের দ্বারা হামলা চালানো সম্ভব নয়। আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত ও ঘটনার বিচার চাই।"

অন্যদিকে, বেসিক বিএসসি নার্সিং শিক্ষার্থীরা এক প্রতিবাদলিপিতে দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিয়মবহির্ভূতভাবে শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলেন। কিন্তু ৬ মে অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে শিক্ষক সাইব হোসেন রনি মোল্লা, মো. আলী আজগর, শিক্ষিকা ফরিদা বেগম এবং কিছু পোস্ট বেসিক শিক্ষার্থীর ইন্ধনে তাদের ওপর হামলা হয়, যাতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

তারা আরও অভিযোগ করেন, এরপর থেকে শিক্ষার্থীদের ফেল করানোর হুমকি এবং বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপ দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে তারা বরিশাল নার্সিং কলেজে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষক সাইব হোসেন রনি মোল্লা পূর্বেও মতবিরোধ হলেই সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের হয়রানি করেছেন। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বরিশালে বদলি হয়ে আসার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ইএইচ