Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫,

মানিকগঞ্জে চাঁদা না দেওয়ায় সিএনজি চালককে মারধর

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মে ২১, ২০২৫, ০৭:৫৭ পিএম


মানিকগঞ্জে চাঁদা না দেওয়ায় সিএনজি চালককে মারধর

মানিকগঞ্জে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় মো. অন্তর মিয়া (৩৩) নামের এক সিএনজি চালক মারধরের শিকার হয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নবীন (৩৫)। মারধরের পাশাপাশি চালককে প্রকাশ্যে অপমানজনকভাবে থুতু চাটানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে আহত অন্তর মিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (১৯ মে) দুপুরে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি ব্যক্তিগত অফিসে। আহত অন্তর মিয়া সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের বাঙ্গালা গ্রামের বাসিন্দা ও মৃত বাবু মিয়ার ছেলে। তিনি মানিকগঞ্জ-সিংগাইর-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক সড়কে সিএনজি চালান।

ভুক্তভোগী অন্তর জানান, দীর্ঘদিন ধরে নবীন তার কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। গত ১৮ মে তাকে ফোন করে ১৯ মে সকালে চাঁদার টাকা নিয়ে নবীনের অফিসে আসতে বলা হয়। সময়মতো উপস্থিত না হওয়ায় তাকে গালিগালাজ করা হয় এবং পরে সিএনজি মালিককে সঙ্গে নিয়ে অফিসে যেতে বলা হয়।

পরদিন দুপুরে সিএনজি মালিকসহ নবীনের অফিসে গেলে তাকে রড দিয়ে পেটানো হয় এবং এক পর্যায়ে অন্য একজনের মুখের থুতু চাটাতে বাধ্য করা হয়। এ সময় উপস্থিত লোকজনের সামনেই তাকে অপমান করা হয়। অন্তর বলেন, “লোকজনের সামনে হাত বেঁধে পিটিয়েছে। আমার মালিক আমার হয়ে মাফ চাইলেও কিছুই শোনেনি। শেষে একজনের মুখের থুতু খাওয়ানো হয়েছে আমাকে। এখনও সেই মুহূর্ত মনে পড়লে গা শিউরে ওঠে।”

চালকের মালিক ওমর ফারুক বলেন, “আমি দুই ঘণ্টা ধরে তার (অন্তরের) জন্য মাফ চেয়েছি, কিন্তু ওরা একটুও করুণা দেখায়নি। ওর উপর যা নির্যাতন চালানো হয়েছে, তা বর্বরতা ছাড়া কিছু নয়।”

অভিযোগ অস্বীকার করে নবীন বলেন, “সিরিয়াল সংক্রান্ত সমস্যা ছিল, সেটি মিটমাট করতে তাকে ডাকা হয়েছিল। অন্য কিছু হয়নি।” তবে তিনি নিজে পরিবহন নেতা না হয়েও কেন এমন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলেন, সে প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম আবেদন কায়সার বলেন, “ঘটনার সত্যতা যাচাই করে প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) মানিকগঞ্জ শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন কচি বলেন, “বিএনপি এখনও ক্ষমতায় আসেনি, অথচ তাদের অঙ্গ সংগঠনের এমন আচরণ দুঃখজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং ভুক্তভোগীর পাশে থাকব।”

মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম. আমান উল্লাহ জানান, “আমরা এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ইএইচ

Link copied!