ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

টাঙ্গাইলের কাইতলা পশুর হাট: ইজারা নিয়ে সাবলিজ-শেয়ার বিক্রির অভিযোগ

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৮:৩০ পিএম

টাঙ্গাইলের কাইতলা পশুর হাট: ইজারা নিয়ে সাবলিজ-শেয়ার বিক্রির অভিযোগ

টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার কাইতলা পশুর হাট ইজারা নিয়ে সাবলিজ দেওয়া এবং এফিডেভিটের মাধ্যমে শেয়ার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে সরকারিভাবে ইজারাপ্রাপ্ত মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে। 

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন হাটের আগের ইজারাদার হেলাল উদ্দিন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ সর্বোচ্চ ৫ কোটি ২০ লাখ ৫ হাজার টাকায় কাইতলা পশুর হাটের ইজারা মাসুদুর রহমানকে দেয় উপজেলা প্রশাসন। চলতি বছরের পহেলা বৈশাখ হাটের দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর তিনি হাটের একাংশ এক বছরের জন্য ২০ লাখ টাকায় পুনরায় লিজ দেন উপজেলার বাঁশতৈল গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেনকে। একইসঙ্গে বাঁশতৈল ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের দুলাল সিকদারের ছেলে আল আমিন সিকদারের কাছে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ১৮ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেন তিনি।

সাবলিজ নেওয়া বিল্লাল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, “মাসুদুর রহমানের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকায় এক বছরের জন্য চুক্তিপত্রের মাধ্যমে ছাগলের হাটটি লিজ নিয়েছি।”

শেয়ার ক্রেতা আল আমিন সিকদার বলেন, “৯৩ লাখ টাকার বিনিময়ে এক বছরের জন্য মাসুদুর রহমানের কাছ থেকে হাটের ১৮ শতাংশ শেয়ার কিনেছি।”

অভিযোগ প্রসঙ্গে ইজারাদার মাসুদুর রহমান জানান, “স্থানীয় গণ্যমান্যদের সুপারিশে হাটের ছাগলের অংশটি ৫২ সপ্তাহের জন্য ২০ লাখ টাকায় লিজ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হাটের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখার স্বার্থে মোট ৪০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছি। এতে চুক্তির কোনো শর্ত লঙ্ঘন হয়নি।”

তবে সাবেক ইজারাদার হেলাল উদ্দিন বলেন, “নতুন ইজারাদার হাটের চুক্তির নিয়ম ভঙ্গ করে সাবলিজ ও শেয়ার বিক্রি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আমি প্রশাসনের কাছে আইনগত পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছি।”

সরকারি হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা ও ইজারা নীতিমালার ৯ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, “ইজারাদার কোনোভাবেই হাট-বাজার অন্যের কাছে সাবলিজ দিতে পারবেন না।” একই নীতিমালার ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, চুক্তির কোনো শর্ত লঙ্ঘন হলে ইজারা বাতিলের বিধান রয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের পহেলা বৈশাখ বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে মাসুদুর রহমানকে হাট বুঝিয়ে দেয় উপজেলা প্রশাসন। তবে সাবলিজ ও শেয়ার বিক্রির ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী তাঁর ইজারা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.বি.এম. আরিফুল ইসলাম বলেন, “কাইতলা পশুর হাটে সাবলিজ বা শেয়ার বিক্রির বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে বিধিমতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ইএইচ

Link copied!