মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মে ৩১, ২০২৫, ০৪:২০ পিএম
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে করিম (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ভোরে সদর উপজেলার সেওতা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। করিম দীর্ঘদিন ধরে শিবালয় সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাল হোসেনের বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শিবালয় উপজেলার একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের ছাত্র। গত ২৭ মে (মঙ্গলবার) সকালে স্থানীয় একটি দোকানের সামনে একা অবস্থায় তাকে দেখতে পান অভিযুক্ত করিম। পরে খিচুড়ি খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বাসায় নিয়ে গিয়ে একাধিকবার বলাৎকার করেন তিনি। পরদিন ২৮ মে সকালে শিশুটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
শিশুটির পরিবার জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত চারবার বলাৎকার করা হয়েছে। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং শারীরিকভাবে রক্তক্ষরণ হয়। প্রথমে তাকে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, পরে অবস্থার অবনতি হলে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিশুটির বাবা বলেন, “বাড়ি ফিরে ছেলের কান্নাকাটি ও অস্বাভাবিক আচরণ দেখে সন্দেহ হয়। পরে সে বিস্তারিত জানালে আমরা সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। আমার ছেলেকে নৃশংসভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
শিশুটির বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, “আমরা ঘটনাটি শুনে মর্মাহত। সে আমাদের বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার পাশে আছে এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।”
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, “ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুটির বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। শিশুটির শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।”
ইএইচ
