Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ০৩ জুন, ২০২৫,

কুড়িগ্রামে জমে উঠেছে গরুর হাট

সাইফুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম

সাইফুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম

জুন ১, ২০২৫, ০৩:১৬ পিএম


কুড়িগ্রামে জমে উঠেছে গরুর হাট

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কুড়িগ্রামের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের গরুর হাটগুলো জমে উঠেছে। হাটে গরু, মহিষ, ছাগলসহ বিভিন্ন গবাদিপশুর বেচাকেনা চলছে জমজমাটভাবে।

গত কয়েক বছর ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশের কারণে স্থানীয় খামারিরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হলেও এ বছর অনেকটাই আশার আলো দেখছেন তারা। দিন যতই গড়াচ্ছে, ততই বাড়ছে গরুর দাম ও চাহিদা। ফলে বিক্রেতারা লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন যাত্রাপুর হাটের ইজারাদার, ক্রেতা ও বিক্রেতারা।

সরেজমিনে যাত্রাপুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী এই হাটটি প্রতি সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবার বসে। নদী ও চরাঞ্চলের সন্নিকটে হওয়ায় এখানে দেশি গরুর উপস্থিতি বেশি। প্রাকৃতিকভাবে খাবার খেয়ে বড় হওয়া দেশি গরু ছাড়াও খামারে পালন করা ফ্রিজিয়ান ও অস্ট্রেলিয়ান জাতের গরুও বিক্রি হচ্ছে এ হাটে। হাটে গরু আমদানি ও রপ্তানিও ভালো হচ্ছে।

সুরক্ষার জন্য পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনী নিয়মিত তদারকি করছে, যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।

গরু কিনতে কুড়িগ্রাম সদর থেকে যাত্রাপুর হাটে আসা মিজানুর রহমান মিন্টু বলেন, "কয়েকটা গরু দেখলাম। দাম মোটামুটি ভালো, আশা করছি সাধ্যের মধ্যেই একটি গরু কিনতে পারবো।"

গরু বিক্রেতা মো. আয়নাল হোসেন বলেন, “আমি প্রায় ৪ মণ ওজনের দেশি গরু এনেছি। দাম চাচ্ছি এক লাখ টাকা, এখন পর্যন্ত ৮০ হাজার পর্যন্ত বলেছে ক্রেতারা। আশা করছি ভালো দামে বিক্রি করতে পারব।”

এক গরুর পাইকার মো. আলম সর্দার বলেন, “এ পর্যন্ত ৮টি গরু কিনেছি। গরুগুলোর দাম বয়স ও রঙভেদে ৭০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে। আশা করছি ব্যবসায় লাভ হবে।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রহিম উদ্দিন হায়দার রিপন বলেন, “হাটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ও সেনাবাহিনী সার্বক্ষণিক তদারকি করছে।”

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, “এ বছর কুড়িগ্রামে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ২৯টি পশুর হাট রয়েছে। জেলায় কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ২ লাখ ৮০ হাজার ৪৮৬টি, যেখানে চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ২২ হাজার ৪৮০টির। ফলে ৫৭ হাজার ৬৪৬টি অতিরিক্ত পশু অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা যাবে। প্রতিটি উপজেলায় ভেটেরিনারি টিম গঠন করা হয়েছে।”

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা বলেন, “পবিত্র ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী ও অস্থায়ী হাট বসানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ জাল নোট শনাক্ত, অতিরিক্ত হাসিল আদায় ও চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

ইএইচ

Link copied!