Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন, ২০২৫,

অনলাইন জুয়া নিয়ে বিরোধে গলাকেটে হত্যা: আদালতে স্বীকারোক্তি

গোলাম কিবরিয়া সোহেল, নেত্রকোণা

গোলাম কিবরিয়া সোহেল, নেত্রকোণা

জুন ৩, ২০২৫, ০৮:২৪ পিএম


অনলাইন জুয়া নিয়ে বিরোধে গলাকেটে হত্যা: আদালতে স্বীকারোক্তি

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে ইদু মিয়া (২০) নামে এক যুবককে গলাকেটে হত্যা করার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। অনলাইনে জুয়া খেলার বিরোধের জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে আসামি স্বীকার করেছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে মোহনগঞ্জ থানার আটক অভিযুক্ত মো. রফিক ওরফে হাবু ওরফে আবু (২৮) ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সাহেব আলী পাঠান একই দিন বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পুলিশ জানায়, গত সোমবার মোহনগঞ্জ উপজেলার ছয়াশী (হাটনাইয়া) এলাকায় যৌথ অভিযানে মোহনগঞ্জ থানা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের টিম অভিযুক্ত রফিককে আটক করে। তিনি উপজেলার ছয়াশী গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৬ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোহনগঞ্জ উপজেলার আদর্শনগর শিবির এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমেদ ইদু মিয়া নিখোঁজ হন। পরদিন সকালে স্থানীয়রা পাশের পরিত্যক্ত ব্র্যাক শিশু স্কুলের ভিতর থেকে তার গলা কাটা ও ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিহতের বড় ভাই মো. সুমন মিয়া বাদী হয়ে মোহনগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে একটি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয়। পরে গত সোমবার দুপুরে রফিককে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, স্থানীয় মোশারফ হোসেন নামে এক যুবকের সঙ্গে অনলাইন জুয়া খেলা নিয়ে ইদুর আর্থিক বিরোধ ছিল। এর জের ধরে ২৬ মে রাতে মোশারফ, রফিক ও অন্যরা ইদুকে কৌশলে ডেকে নিয়ে যান। পরে মুখ বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা চালিয়ে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করেন। হত্যার পর ব্যবহৃত অস্ত্রটি ঘটনাস্থলের নিকটস্থ একটি বিলে ফেলে তারা পালিয়ে যায়।

মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, “রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের মূল সূত্র দিয়েছে। অনলাইন জুয়া খেলার বিরোধই হত্যার মূল কারণ। হত্যায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে। একজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। দ্রুত তাদেরও গ্রেফতার করা হবে, ইনশাআল্লাহ।”

ইএইচ

Link copied!