Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫,

ঘরে বসেই মিলবে বিসিসির ট্রেড লাইসেন্স

বরিশাল ব্যুরো

বরিশাল ব্যুরো

জুন ৪, ২০২৫, ০৭:১৩ পিএম


ঘরে বসেই মিলবে বিসিসির ট্রেড লাইসেন্স

প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথমবারের মতো অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের কার্যক্রম শুরু করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। এখন থেকে ব্যবসায়ীরা কোন ধরনের হয়রানি ছাড়াই ঘরে বসেই এই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

বুধবার দুপুরে নগর ভবনের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওছারের সদিচ্ছায় এ কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়েছে।

অনলাইন সেবা প্রণয়নে যুক্ত বিসিসির রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার বলেন, “ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে প্রশাসকের নির্দেশে এই সেবাকে অনলাইনে আনা হয়েছে। এখন সিস্টেম অনেক সহজ – ঘরে বসেই সেবা মিলবে।”

তিনি আরও জানান, আগে হাতে লেখা ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করা হতো, কিন্তু এখন তা বন্ধ করে অনলাইনের আওতায় আনা হয়েছে। পুরনো লাইসেন্স নবায়ন কিংবা নতুন লাইসেন্স করতে হলে সেগুলো অনলাইনে রূপান্তর করে দেওয়া হচ্ছে। বরিশাল নগরীতে এই প্রথমবার ব্যবসায়ীদের ই-ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। লাইসেন্স সংক্রান্ত তথ্য গ্রাহকের মোবাইল ফোনে পাঠানো হবে এবং ঘরে বসেই ইস্যু ও নবায়ন সম্পন্ন করা যাবে।

সূত্রমতে, প্রশাসক রায়হান কাওছার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই অনলাইন ট্রেড লাইসেন্স কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনার ভিত্তিতে বিসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও আইটি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান উদ্দিন রোমেল নিরলস পরিশ্রম করে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।

জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান উদ্দিন রোমেল জানান, “এখন আর কাউকে বিসিসি অফিসে আসতে হবে না। স্বল্প সময়ের মধ্যেই মোবাইল ফোনে টাকা পরিশোধ করে অনলাইন থেকে ট্রেড লাইসেন্স প্রিন্ট করে নেওয়া যাচ্ছে। এটি অত্যন্ত সহজ একটি পদ্ধতি।”

তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন করতে হলে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন ফর্ম পূরণ করতে হবে। সেখানে নাম, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল, ব্যবসার ধরন ইত্যাদি তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর একটি নিবন্ধন নম্বর পাওয়া যাবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদ, পাসপোর্ট ইত্যাদি) স্ক্যান করে যুক্ত করতে হবে।

আবেদন সাবমিট করার পর গ্রাহক এবং সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তার মোবাইলে একটি মেসেজ যাবে। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে গ্রাহকের মোবাইল ফোন ও ই-মেইলে ফেরত মেসেজ পাঠিয়ে ফি ও জমা দেওয়ার পদ্ধতি জানিয়ে দেওয়া হবে। ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, নগদ, বিকাশ, রকেট বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা যাবে। ফি জমা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন এবং সবকিছু ঠিক থাকলে এক থেকে তিন দিনের মধ্যে ই-ট্রেড লাইসেন্স ই-মেইলে পাঠানো হবে।

এই বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওছার বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ায় নাগরিক সেবা এখন আরও সহজ ও স্বচ্ছ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা অফিসে না গিয়ে ঘরে বসেই ট্রেড লাইসেন্স পাবেন। এতে দুর্নীতির সুযোগ কমবে এবং প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা আরও বাড়বে।”

ইএইচ

Link copied!