মো. আবদুল হালিম, কক্সবাজার
জুন ৫, ২০২৫, ০৬:১২ পিএম
মো. আবদুল হালিম, কক্সবাজার
জুন ৫, ২০২৫, ০৬:১২ পিএম
পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকায় দখল হয়ে যাওয়া প্রায় ২০০ কোটি টাকা মূল্যের ২ একর ৩০ শতাংশ সরকারি জমি উদ্ধার করেছে প্রশাসন।
বুধবার সন্ধ্যায় টানা তিন ঘণ্টাব্যাপী পরিচালিত অভিযানে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানা, তদারকির দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী।
অভিযানে পুলিশের পাশাপাশি আনসার বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন এবং একটি স্কেভেটরের মাধ্যমে অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনাগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
সহকারী কমিশনার শারমিন সুলতানা জানান, "সুগন্ধা পয়েন্টের মূল্যবান এই সরকারি জমি দীর্ঘদিন ধরে ওবায়দুল হাসান নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে দখল করে শতাধিক দোকান ও স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। ভুয়া খতিয়ান ও কাগজপত্র সৃজন করে জমি দখলের চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। এমনকি উচ্চ আদালতে একটি রিটও দায়ের করা হয়েছিল, যার বিপরীতে আদেশ পাওয়ার পরই আজকের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।"
জাল কাগজ ও প্রতারণার নেপথ্যে একটি চক্র
অভিযানের সময় অভিযুক্ত দখলদারদের কয়েকজন ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে জাল কাগজ দেখিয়ে অভিযান থামানোর অপচেষ্টা করে, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তায় অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
এর আগে, ২০২৪ সালের ১২ জুন, জাল খতিয়ান ও নথিপত্র দাখিলের দায়ে সাচ্চিদানন্দ সেন গুপ্ত নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) জেলা প্রশাসকের কাছে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ঝিলংজা মৌজার একাধিক সরকারি নথি জাল করে জমিটি আবাসিক বা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল ওই ব্যক্তি।
কউক থেকে ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর জারিকৃত প্রত্যাখ্যানপত্রে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, "উল্লেখিত জমি আবাসিক হোটেল, কটেজ কিংবা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত নয়।"
উল্লেখ্য, গত ৫ মে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এক অভিযানে সরকারি জমি জবরদখলের স্পষ্ট প্রমাণ পায়। প্রশাসনের ধারাবাহিক তৎপরতায় বুধবারের অভিযান বাস্তবায়ন হয়।
কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, "সরকারি জমি রক্ষা এবং জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে সামনে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
ইএইচ