নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ৫, ২০২৫, ১১:২৯ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ৫, ২০২৫, ১১:২৯ পিএম
পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী শনিবার (৭ জুন) দেশে উদযাপিত হবে। ঈদে প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে গাজীপুরের শিল্পাঞ্চল থেকে বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন লাখো মানুষ। তবে পর্যাপ্ত পরিবহন না থাকায় চন্দ্রা এলাকায় পড়েছে ভয়াবহ চাপ—যার ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা, বিশেষ করে পোশাক খাতের শ্রমিকরা।
গাজীপুরে রয়েছে ২ হাজার ১৭৬টি নিবন্ধিত শিল্প-কারখানা, যার মধ্যে ১ হাজার ১৫৪টি পোশাক কারখানা। এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন কয়েক লাখ শ্রমিক।
বুধবার অধিকাংশ এবং বৃহস্পতিবার বাকি কারখানাগুলোর ছুটি ঘোষণা করা হয়। ফলে টানা দুই দিনের ভিড়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় নেমেছে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ঢল।
ভোর থেকে চন্দ্রায় মানুষের স্রোত, গাড়ির সংকট তীব্র
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই চন্দ্রা এলাকায় দেখা যায় বিশাল যাত্রীর ভিড়। তবে যানজট ও গাড়ির সংকটে ব্যাহত হচ্ছে তাদের যাত্রা। পূর্বরাতের যানজটের কারণে অনেক বাস এখনো গন্তব্য থেকে ফিরে আসেনি, ফলে দেখা দিয়েছে পরিবহন সংকট।
খোরশেদ আলম নামের এক যাত্রী বলেন, “দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও বাস পাইনি। গতরাতে যানজটে আটকে থাকা অনেক গাড়ি এখনো ফেরেনি। তাই এত সমস্যা হচ্ছে।”
কায়কোবাদ আলম বলেন, “আজ কারখানায় গিয়ে হাজিরা দিয়ে চলে এসেছি। বের হয়েই বৃষ্টিতে আটকে পড়েছিলাম। এখন চন্দ্রায় এসে দেখি বাস নেই, যা আছে তাও আগে থেকেই বুকিং। কবে উঠতে পারব, বুঝতে পারছি না।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য জানান, “রাতে চন্দ্রা ও টাঙ্গাইলে প্রচণ্ড যানজট ছিল। ফলে গাড়িগুলো সঠিক সময়ে যাত্রী নামিয়ে ফিরে আসতে পারেনি। সেজন্যই এখন পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে।”
নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকাতুল আলম বলেন, “ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে হাইওয়ে পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য বাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ছিনতাই রোধে আলাদা টিমও মাঠে কাজ করছে।”
ঈদ যাত্রা নিয়ে বরাবরের মতো এবারও গাজীপুরের চন্দ্রায় দেখা দিয়েছে যানজট ও গাড়ির সংকট। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা, বিশেষ করে গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পকারখানার শ্রমিকরা। যথাসময়ে ঘরে ফেরা ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষের আরও কার্যকর সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
ইএইচ