Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫,

বরিশালে বিয়ে করে মুক্তি পেলেন ছাত্রদল নেতা

বরিশাল ব্যুরো

বরিশাল ব্যুরো

জুন ১২, ২০২৫, ০৫:০৭ পিএম


বরিশালে বিয়ে করে মুক্তি পেলেন ছাত্রদল নেতা

বরিশাল নগরীর গ্যাসটাবাইন চৌমাথা বাজারের পাশের একটি বাসা থেকে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার জাংগালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী হাসানকে এক তরুণীসহ আটক করে পুলিশ। পরে পারিবারিক সমঝোতায় ওই তরুণীকে বিয়ে করার পর থানায় চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের মাধ্যমে মুক্তি পান মেহেদী।

থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ জুন রাত ১২টা ৪০ মিনিটে নগরীর গ্যাসটাবাইন বাজারসংলগ্ন একটি বাসা থেকে মেহেদী ও তরুণী ফাতেমা আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

পরে ১১ জুন দুপুরে মেহেন্দিগঞ্জ থানা যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে উভয় পরিবারের সদস্যরা থানায় এসে বিষয়টি মীমাংসা করেন। সেখানে উভয় পক্ষের সম্মতিতে ৩শ টাকার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষরের মাধ্যমে এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি ও পরবর্তী বিয়ে সম্পন্ন করার শর্তে মেহেদীকে মুক্তি দেয় পুলিশ।

ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে নিয়ে আসা বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই হুমায়ুন জানান, স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাসা থেকে মেহেদী হাসান ও ফাতেমাকে আটক করে। 

তিনি বলেন, “প্রায় পাঁচ মাস আগে মেহেদীর সঙ্গে ফাতেমার পরিচয় হয় এবং পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেহেদী বরিশালে এসেছিলেন ফাতেমার সঙ্গে দেখা করতে। ফাতেমা গ্যাসটাবাইন এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন এবং অপসোনিন ফার্মাসিউটিক্যালসে চাকরি করেন।”

এসআই হুমায়ুন আরও জানান, “বুধবার দুপুরে উভয় পরিবারের সদস্যরা থানায় উপস্থিত হন। বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পারস্পরিক সমঝোতায় বরিশাল আদালত চত্বরে একটি আইনজীবীর চেম্বারে উভয়ের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এরপর মেহেদীকে থানায় থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।”

বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “এক তরুণ ও তরুণীকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, তারা পূর্বপরিচিত এবং প্রেমের সম্পর্ক ছিল। উভয় পক্ষ বিয়েতে সম্মত হলে লিখিত অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়। পরে বিয়ের প্রমাণপত্র দেখানোর পর মেহেদীকে মুক্তি দেওয়া হয়।”

এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাদাৎ সোহাগ এবং অভিযুক্ত জাংগালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি মেহেদী হাসান-এর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

তবে এ ঘটনার পর স্থানীয় ছাত্রদল ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বরিশাল জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। সংগঠনের কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, তাঁরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং প্রয়োজন হলে দলীয়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

ইএইচ

Link copied!